সাংবাদিক ইলিয়াসকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জৃলফিকার হায়াত এই আদেশ দেন বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম। 

সাংবাদিক ইলিয়াসকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যা মামলার ব্যাপারে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জৃলফিকার হায়াত এই আদেশ দেন বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম। এদিন আদেশের সঙ্গে ইলিয়াসের সম্পত্তি ক্রোকসংক্রান্ত সব প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

এর আগে গত ২৫ জুলাই মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে সাংবাদিক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি তাকে গ্রেফতারসংক্রান্ত সব প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেদিন এ মামলার অভিযোগ থেকে নিহত মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করা হয়।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। 

ইলিয়াস হোসাইনের পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন বনজ কুমার। এছাড়া স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তাকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও রয়েছে। 

ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। এ মামলার পর কারাগারে বাবুল আক্তারের সেলে পুলিশ তল্লাশি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। তবে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।