শাহপরানের মাজারে মাদক ব্যবসা অশ্লীলতা বন্ধে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

শাহপরান (রহ.) মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের করে বিষয়টি জানান।

শাহপরানের মাজারে মাদক ব্যবসা অশ্লীলতা বন্ধে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সিলেটের হযরত শাহপরান (র.) মাজারের গান-বাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শাহপরান (রহ.) মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের করে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার যে গান-বাজনা করা হয় তার আড়ালে দেখা যায় মাদকের ব্যবসা করা হয়। আমরা খাদিম পরিবার এ কাজ কোনোভাবে সমর্থন করি না। এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই। মাজারে ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কেউ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। এখন থেকে বৃহস্পতিবারের গান-বাজনাও বন্ধ থাকবে। কেউ যদি করার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা তা প্রতিহত করব। 

শুক্রবার বিকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা জানান। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশেনের ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাজারে গান-বাজনা ও অশ্লীলতা বন্ধ করা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে শাহপরানের মাজারে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ সব প্রকার অশ্লীল কার্যক্রম এখন থেকে বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। বিষয়টি তদারকি করার জন্য মুসল্লি, ছাত্র-জনতা ও আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন হবে। এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা নাচ-গান, মদ, জুয়া, গাজা, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ অসামাজিক-অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্র-জনতা, উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসল্লি। 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, জামিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মহাদ্দিস শাহ মমশাদ আলী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন নাদিম, অসামাজিক-অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওলানা আফতারুল ইসলাম, শাহপরান মাজারের খাদেম সাজু আহমেদ, আত-ত্বাকওয়া মসজিদের দায়িত্বশীল সবুর আহমেদ ও শাহপরান মাজার মসজিদের খতিব মাওলানা মামুনুর।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর নিয়ম অনুযায়ী ৪, ৫ ও ৬ রবিউল আউয়াল তিন দিনব্যাপী ওরসের আয়োজন করে থাকে শাহপরান (রহ.) মাজার কর্তৃপক্ষ। মাজার কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বাইরে ওরস চলাকালে ভক্ত আশেকানরা প্যান্ডেল করে নাচ-গান-মদ-জুয়া, গাজা, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ বিভিন্ন অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।  এছাড়া মেলার নামে জুয়ার রমরমা আসর বসানো হয় ওরসের সময়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত আশেকান ইবাদত বন্দেগি ছেড়ে এ সব আসরে সময় কাটান বলেও অভিযোগ।