শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ
১৯৮১ সালের ৩০মে’র এই কালো রাতে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণ:প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, দুরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২ তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের ৩০মে’র এই কালো রাতে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন স্মরন রাখবে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষণায় দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে সামিল হয়। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন না। জাতি যখন নেতৃত্বশূর্ণ দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জল নক্ষত্রের মতো আবির্ভাব হয়েছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষে জাতি বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে বিজয় অর্জনের অব্যবহিত পরে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দুর্বিনীত দু:শাসনে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ও কাঙ্খিত গণতন্ত্র মাটিচাপা পড়ে। একের পর এক দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়, দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠূর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। সেই সময় দেশের সর্বত্র বিভৎস অরাজকতা নেমে আসে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন। আধুনিক ও স্বনির্ভর দেশ গঠনের পদক্ষেপ নেন। বর্তমান সরকার তাঁর নাম পাঠ্যপুস্তকসহ সকল স্থাপনা থেকে মুছে ফেলেছে। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তাঁর নাম কোন দিন মুছে ফেলা যাবে না । করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১৫ দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। আজ প্রাণপ্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মরণ করবে দেশের কোটি কোটি মানুষ। এ উপলক্ষে শেরে বাংলানগরের জিয়া উদ্যানে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, কোনআন খানি, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি ও এর অংগ সহযোগী সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক সংগে গাথা । আমি যুগে আসি, আসিয়াছি পুণ: মহা বিপ্লব হেতু-- আমাদের জাতিয় জীবনের প্রতিটি ক্রন্তিকালে বিদ্রোহী কবির ধুমকেতুর মতোই ত্রাতার ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেছিল। তিনি একজন সৈনিক থেকে ক্রন্তিকালে স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ,যুদ্ধ শেষে সেনাবাহিনীতে ফিরে যাওয়া, ক্রান্তিকালে দেশের দায়ীত্বগ্রহণ, সর্বোপরি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে ও ঈর্ষণীয়। তার দেশপ্রেমের প্রকৃষ্ট উদাহরণই হলো ‘বাংলাদেশ’। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। একজন সাধারণ মেজর হয়েও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিপরীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
মহান এই দেশদরদী নেতা ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নিভৃত পল্লী বাগবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব ও কৈশোরে তিনি কমল নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর পিতা মনসুর রহমান সরকারি চাকরির জন্য প্রথমে কলকাতায় ও ’৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চলে যান করাচি শহরে অবস্থান করায় সেখানেই তার লেখাপড়া। শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমী কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। পাক-ভারত যুদ্ধে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসাবে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি এই যুদ্ধে কোম্পানির সর্বোচ্চ খেতাব ও ১টি বিশেষ উপহার লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে হানাদার পাকবাহিনী মারনাস্ত্র নিয়ে হঠাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে নিহত হয় হাজার হাজার মানুষ। শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের করে নিয়ে যায় পাকিস্তান বাহিনী। হানাদারদের অতর্কিত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। চট্টগ্রামে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান এ রাতেই ষোলশহরে সেনাবাহিনীর ৮ম ব্যাটালিয়নের সব বাংলাভাষী অফিসার ও জওয়ানকে ডেকে একত্র করে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ডাক দেন। মেজর জিয়ার এই আহবানে গোটা অষ্টম ব্যাটালিয়নে ব্যাপক সাড়া দিয়ে সৈনিক ও অফিসাররা উল্লসিত হয়ে ওঠে। মেজর জিয়াউর রহমান পাকবাহিনীর আক্রমণে নিরস্ত্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে ২৬ মার্চ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর শুনে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে দিশেহারা গোটা জাতি। ‘আমি মেজর জিয়া বলছি...বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’Ñতাঁর এই অবিস্মরণীয় অবিনাশি ঘোষণায় পথহারা মুক্তিকামী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে।
জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তিনি চৌকস জেড ফোর্স গঠন ও পরিচালনা করেন। বীরত্বের সঙ্গে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর আবার ফিরে যান ক্যান্টনমেন্টে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী খন্দোকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করে প্রেসিডেন্ট হলে সেনাবাহিনীসহ গোটা জাতির ভাগ্যোন্নয়নে তখন বিরাজ করছিল চরম অনিশ্চয়তা। এরই মধ্যে খন্দকার মোশতাককে পাল্টা আরেক অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে আধিপত্যবাদের ক্রীড়নকরা ক্ষমতা দখল করে। সেসময়ে কিংকর্তব্যবিমুরড় নেতৃত্বশূন্য জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে জিয়াউর রহমানকে দায়িত্ব দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় সৈনিক-জনতা। দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের পর জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই তলাবিহীন ঝুড়ির বদনামমুক্ত করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশে বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের প্রবক্তা জিয়া জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তার সুশাসনে উদীয়মান এক অমিত সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় আসন লাভ করে। জিয়াউর রহমান ছিলেন সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও পথ-প্রদর্শক। তিনি বাংলাদেশকে অধিকতর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে দেশের সম্ভাবনার প্রতিটি দিককে উন্মোচনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত সততা, পরিশ্রমপ্রিয়তা, কর্তব্যনিষ্ঠা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা, নির্লোভ, নির্মোহ ও গভীর দেশপ্রেমসহ বহু সৎগুণাবলী দিয়ে তিনি জাতির সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেন। স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি দেশগড়ার ১৯দফা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর বলিষ্ঠ, গতিশীল ও পরিকল্পিত নেতৃত্বে দেশ সত্যিকার উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই দেশবাসীর প্রাণপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেন। মুসলিম বিশ্বে, জোটনিরপেক্ষ বলয়ে ও পাশ্চাত্যে তেজদীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ভূমিকা পালনে, সার্কের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে শহীদ জিয়া জাতিয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অগ্রভাগে এনে দিয়েছিলেন। জিয়ার ঈর্শনীয় এই জনপ্রিয়তা ও দেশপ্রেমই তার জন্য কাল হয়েছিল। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিরা চট্রগ্রামে তাকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতে গোটা পৃথিবী শোকাভিভূত হয়ে পড়েছিল। এ শোকের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল শেরেবাংলানগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজায়। লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাণী :
“মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্টত জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ ও তাঁর কালোত্তীর্ণ আদর্শ বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রবল উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষার চেতনা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ থেকে উৎসারিত।
জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের সাহসী নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি জাতীয় সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দোদুল্যমানতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা পুরো জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষনায় দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষে জাতি বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। বিজয় অর্জনের অব্যবহিত পরে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দুর্বিনীত দু:শাসনে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ও কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র মাটিচাপা পড়ে। একের পর এক দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বহুমত ও পথের অনুশীলন মাটিচাপা দেওয়া হয়। হরণ করা হয় স্বাধীনতা। দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠুর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। সেই সময় দেশের সর্বত্র বীভৎস অরাজকতা নেমে আসে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন।
এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশবাসী একজন মহান দেশপ্রেমিককে হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা যতই চেষ্টা করুক কোন ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হন না বরং নিজ দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করেন। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারদিকে বিদ্যমান। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নায়ক এবং চলমান গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার আন্দোলনের আপোষহীন নেতা, নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন সৃষ্টিকারী তরুণ নেতা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রকামী প্রায় ৪০ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করাা হচ্ছে। হত্যা, খুন, গুম ও বিনা বিচারে হত্যা এবং অমানবিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অবৈধ একদলীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শাসন চিরস্থায়ী করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে আমাদের বারবার স্মরণ ও অনুসরণ করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবীয়, অবৈধ, গণতন্ত্রহরণকারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে, পরাজিত করতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের পার্লামেন্ট ও জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।
রণাঙ্গনের অনন্য মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক, নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী শক্তির ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমণের পটভূমিতে তাঁর অম্লান স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদাতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকীর কর্মসূচি:
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কর্মসূচি নি¤œরুপ ঃ
১। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
৪২তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ মে ২০২৩, সোমবার বেলা ২ টায় রমনাস্থ ইন্সটিটিউট অব
ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বিএনপি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
২। শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে পোষ্টার প্রকাশ ও কালো ব্যাজ ধারণ।
৩। শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদপত্র এবং অনলাইন পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
৪। শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পোষ্টার প্রকাশ।
৬। ৩০ মে মঙ্গলবার শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঃ
(ক) ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।
(খ) ঐদিন সকাল ১১-০০ টায় দলের মহাসচিব মহোদয় এর নেতৃত্বে বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের
নেতাকর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবেন এবং
জিয়ারত শেষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মাজার প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলে শরীক হবেন।
(গ) দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতি থানায় দুঃস্থদের মাঝে কাপড় ও রান্না করা খাবার
বিতরণ।
২৯ মে ২০২৩ থেকে ১৫ জুন ২০২৩ পর্যন্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপি’র উদ্যোগে রমনাস্থ ইন্সটিটিউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১ জুন জাসাস, ২ জুন বিএসপিপি, ৪ জুন শ্রমিক দল, ৮ জুন তাঁতী দল, ১০ জুন মৎস্যজীবী দল এবং আগামী ১৫ জুন ২০২৩ পর্যন্ত বিএনপি’র অন্যান্য সংগঠন সমূহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য গৃহীত কর্মসূচী:-
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জীবনী নিয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়াম, কবিতা আবৃতি, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, একটি জাতির জন্ম বই ও বুকলেট ছাপানো, বইমেলা প্রদর্শনী, স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে তাঁর শাহাদাৎ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনী নিয়ে বই/বুকলেট প্রকাশ করা, গণমাধ্যমসহ স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি সমূহ ঃ
২ জুন ২০২৩
পেশাজীবিদের সেমিনার
৩ জুন ২০২৩,
রির্পোটার্স ইউনিটি
বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি ঃ
আহ্বায়ক ঃ জনাব আমান উল্লাহ আমান, সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
সদস্য সচিবঃ সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।
৪ জুন ২০২৩, সারাদেশে জেলা মহানগরে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদ্ভোধন নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে।
সেমিনার কমিটি ঃ
৫ জুন ২০২৩, হোটেল লেক শো’র, গুলশান
আহ্বায়ক ঃ জনাব ইসমাইল জাবিউল্লাহ, সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
সদস্য সচিব ঃ জনাব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রচার সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।
স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাংকন প্রতিয়োগিতা কমিটি ঃ
৯ জুন ২০২৩, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট
আহ্বায়কঃ বেগম সেলিমা রহমান, সদস্য জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি।
সদস্য সচিব ঃ জনাব আবদুল হাই সিকদার, সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রকাশনা কমিটি ঃ
আহ্বায়ক ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
সদস্য সচিব ঃ জনাব আবদুল হাই সিকদার, সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
৫। রচনা প্রতিযোগিতা কমিটি ঃ
আহ্বায়ক ঃ অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
সদস্য সচিব ঃ অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।
৬। মিডিয়া কমিটি ঃ
আহ্বায়ক ঃ জনাব জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি, আহ্বায়ক বিএনপি মিডিয়া সেল।
সদস্য সচিব ঃ কাদের গণি চৌধুরী, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।
উক্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবগণ কমিটির কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য অর্ন্তভূক্তির ব্যাপারে তাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সারাদেশে ঃ
বিএনপি’র উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীসহ সকল ইউনিট এবং উক্ত ইউনিট সমূহের অধীনস্থ সকল ইউনিট কার্যালয়ে ৩০ মে ভোর ৬ টায় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং নিজ নিজ এলাকার সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে কাপড় ও রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন সমূহ জেলা ও মহানগরী পর্যায়ে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। শহীদ জিয়ার ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক পোষ্টার প্রকাশ করা হয়েছে এবং ৩০ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।