শার্শায় বাবার মতো ছেলেকেও পিটিয়ে হত্যা
এ ঘটনায় তার মা ছায়রা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
প্রথম নিউজ, যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদাহে মায়ের সামনেই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সাইফুল ইসলাম মুকুলকে। এ ঘটনায় তার মা ছায়রা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের পরিবারের দাবি কেবল মুকুল নয় আয়নাল বাহিনীর সদস্যদের হাতে সাইফুলের পিতাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। আইনাল বাহিনীর ক্যাডাররা তাকেও হত্যা করেছিল ২৭ বছর আগে। এ ছাড়া এই বাহিনীর হাতে বিগত দিনে এই পরিবারের ৬ জন খুন হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও তারা ন্যায়বিচার পাননি। বরং ঘরছাড়া হয়েছেন পরিবারের পুরুষরা। নিহতের স্বজনরা মুকুলসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন। জানা যায়, কন্যাদাহ গ্রামের আজিজ গাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুলের জ্ঞাতি ভাই নয়ন হোসেন (১৯) ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান পরিবারের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে সালিশও বসান।
নয়ন সালিশে হাজির না হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় গত বুধবার হাসানুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে মুকুলের ভাই শরিফুল ইসলাম বকুলকে বাড়ি থেকে ধরে আনে। এরপর মুকুল ও তার মা তাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় মায়ের সামনেই দুই ভাইকে হাতুড়ি, বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। এতে মুকুল অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়ারা আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় সাইফুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। নিহতের স্বজনদের দাবি হাসান মেম্বার আয়নাল বাহিনীর সদস্য।
নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, কেবল বিএনপি করার কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসন চাইলে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পারতো। পুলিশ বলছে ইতিমধ্যে মূল ঘাতকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান দাবি করেন এই হত্যাকাণ্ডের মুল আসামিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।