শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিক বান্ধব : সুজিত রায় নন্দী

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে

শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিক বান্ধব : সুজিত রায় নন্দী
শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিক বান্ধব : সুজিত রায় নন্দী

প্রথম নিউজ, ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনসহ তাদের জীবন মানোন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যম ও সাংবাদিক বান্ধব।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের ফ্যামিলি ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুজিত রায় নন্দী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে বেশ আন্তরিক। দেশে গণতন্ত্র সুসংহত হয় ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে গণমাধ্যমের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। 

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা সত্য, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবেন।

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। এই মাসে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাই ভাষা শহীদদের। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষকাল।

সুজিত রায় নন্দী বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যেকোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার- মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও ঢাকা টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিনের সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.   রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে মিজান মালিক বলেন, সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিতে এবং চাঁদপুরের মানুষের কল্যাণে ঢাকায় কর্মরত দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা কামনা করছি। সাংবাদিকতার মানন্নোয়নের পাশাপাশি চাঁদপুরের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দেন তিনি।

এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক ও ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন সরকার এবং সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না। 

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষকে নিয়েও কাজ করতে চাই। চাঁদপুরের উন্নয়ন ও ইতিহাস ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।

অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জনকল্যাণ সম্পাদক শামসুজ্জামান নাঈম, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক কাজী ফয়সাল, দপ্তর সম্পাদক ও বিডি সমাচারের সম্পাদক মহসিন হোসেন, নির্বাহী সদস্য গাজী আহমেদ উল্লাহ, তোফাজ্জল হোসেন কামাল, জাহিদুর রহমান চৌধুরী, সাঈদ আল হাসান শিমুল, নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিবসহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, আনন্দময় জমকালো অনুষ্ঠানে ছিল নারীদের বালিশ খেলা, শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত, মেধা প্রতিযোগিতা। র‍্যাফেল ড্র-তে ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা কাপল বিমানের টিকিট ছাড়াও ছিলদ টিশার্ট, কমন গিফট, পিঠা, ভেলপুরি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, চা-কফি। ডিনারে ছিল পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: