লিটনের জায়গায় জনসন চার্লসকে নিলো কলকাতা
ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের মাঝপথেই ভারত ত্যাগ করেন লিটন দাস
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের মাঝপথেই ভারত ত্যাগ করেন লিটন দাস। ষোড়শ আসরের বাকি সময়েও টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে পাবে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। লিটনের জায়গায় বিদেশি কোটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা জনসন চার্লসকে ভিড়িয়েছে কেকেআর।
প্রথমবারের মতো আইপিএলে ডাক পান লিটন দাস। তবে ষোড়শ আসরে টাইগার ব্যাটারের যাত্রাটা সুখকর হয়নি। ছন্দহীন পারফরম্যান্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একটি ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ হয়নি লিটনের। পারিবারিক অসুস্থতার কারণে গত ২৮শে এপ্রিল দেশে ফিরে আসেন তিনি। ব্যক্তিগত কাজ সেরে লিটন এখন ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় আর কলকাতায় ফেরা হচ্ছে না তার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১২ এবং ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা জনসন চার্লসকে দলে টানার বিষয়টি কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যারিবীয় ব্যাটারকে ভেড়াতে ৫০ লাখ রুপি খরচ করছে কেকেআর। নিলামে সমপরিমাণ মূল্য দিয়ে লিটনকেও কিনেছিল কলকাতা।
ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ২১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জনসন চার্লস।
এর মধ্যে ওপেন করেছেন ১৭৯টিতে। রান তোলার গড় ২৫.৪৭। স্ট্রাইকরেট ১২৫.২৭ করে। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনুপস্থিত ছিলেন চার্লস। ২০২২ সালে ৬ বছরের বিরতি শেষে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে ফের সবার নজরে আসেন চার্লস।
লিটনের মতো চার্লসও প্রথমবারের মতো আইপিএলে ডাক পেয়েছেন। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে সুযোগ না হলেও এর আগে বিপিএল, সিপিএল, পিএসএল কিংবা শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলো খেলেছেন তিনি।
গত ২৮শে এপ্রিল লিটনের দেশে ফেরার খবর জানিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পারিবারিক চিকিৎসাজনিত কারণে লিটন দাসকে বাংলাদেশে ফিরতে হয়েছে। এই কঠিন সময়ে তার ও তার পরিবারের প্রতি আমাদের শুভ কামনা রইলো।’
গত ৩১শে মার্চ শুরু হয় আইপিএলের চলতি আসর। জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে কলকাতার প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন না লিটন দাস। গত ৯ই মার্চ আইপিএল খেলতে ভারতে যান তিনি। গত ২০শে এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচে সুযোগ হয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটনের। তবে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। মাত্র ৪ রানে ফেরেন সাজঘরে। সেই ম্যাচটি কলকাতাও হেরে যায় ৪ উইকেটে। এরপর আরও দুই ম্যাচ খেলে কেকেআর, একটিতেও