রেমিট্যান্স কম আসার কারণ খোঁজার তাগিদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: অনেক দেশের চাইতেও বেশি কর্মী বিদেশ প্রেরণ করেও বাংলাদেশ কেন কম রেমিট্যান্স পাচ্ছে, সেটির কারণ খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা যে পরিমাণ লোক বিদেশ পাঠাচ্ছি তার তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ কম। অনেক দেশ এর চেয়েও কম লোক পাঠিয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করছে। এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের বিষয়টি খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
মাহবুব আলী বলেন, প্রবাসীরা যেন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠায় সেটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার কী কী সুবিধা দিচ্ছে হয়ত অনেকে জানেন না। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, তার প্রচার আরও বাড়াতে হবে।
গতানুগতিক মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী পাঠানোর ধারণা থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, শুধু মধ্যপ্রাচ্যকে টার্গেট না করে ইউরোপ ও পাশ্চাত্যের দেশগুলো নজর দিতে হবে। প্রয়োজন হলে কিছু অ্যাগ্রিসিভ (কঠোর) পদক্ষেপ নিতে হবে।
কর্মীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন মাহবুব আলী। তিনি বলেন, কর্মীদের ব্যাপারে অনেক সময় অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শোনা যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। এনগেজমেন্ট (যোগাযোগ) বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের আর্থিক অবদান শুধু বিবেচ্য নয়, সামাজিক অবদানও বিবেচ্য। এক একটা প্রবাসী এক একটা পতাকা হিসেবে কাজ করছে। দেশে ফিরে আসার পরও প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। সেজন্য প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, আমাদের পার ক্যাপিটাল রেমিট্যান্স কম। প্রতিবছর যে পরিমাণে কর্মী বিদেশ যাওয়া বাড়ছে সে অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না। আমাদের দক্ষ কর্মী দরকার। দক্ষ কর্মী না হলে উপযুক্ত বেতন পাচ্ছে না। আমরা যেনতেনভাবে বিদেশ কর্মী পাঠাব না। বেতন নিরাপত্তাসহ সবকিছু নিশ্চিত করে তবেই বিদেশ পাঠাব।