রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের বিদায় করা হবে: মির্জা ফখরুল
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ মহা সমাবেশে পরিনত হয়। সমাবেশে বক্তরা বলেন, সরকার অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করছে। সরকারের আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে, দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির অনেক নেতা জীবন দিয়েছেন, গুম ও খুন হয়েছে। গুম ও খুন আর চলতে দেয়া যায় না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের বিদায় করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জ¦ালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়াবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর মূল্যবৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ দুপুর ২ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর সহ আশেপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল থেকে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। তবে মানিকগঞ্জ,ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেয়। এ সময় অনেককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর নয়া পল্টনে জনসভা করেছিল বিএনপি। ৯ মাস পর আয়োজিত বিএনপির এই সমাবেশে নেতাকর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দলটির লক্ষলক্ষ কর্মী সমর্থক নিজ নিজ কর্তৃক সরবরাহ করা ভিন্ন ভিন্ন রঙের ক্যাপ, ব্যাজ, টি-শার্ট পরে সমাবেশে হাজির হন। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, শ্রমিকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, তাঁতীদল, কৃষকদল, মৎসজীবীদল, ওলামাদলসহ বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ ব্যানারে সমাবেশে অংশ নেয়।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে রাজপথ দখল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ছাত্র, তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা যখন যুবক, তরুণ এবং ছাত্র ছিলাম- আমরা তখন লড়াই ও যুদ্ধ করে একটা দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে তরুণ ও যুবকদের জেগে উঠতে হবে। তাদেরকে আজকে নতুন করে দেশকে স্বাধীন করতে হবে। সেই স্বাধীনতা হবে আমাদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তার স্বাধীনতা। 'এই সংগ্রাম, লড়াই এবং যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই লড়াই আমাদের প্রাণের লড়াই। আমাদের বেঁচে থাকবার এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করবার লড়াই। এই লড়াই বিএনপি, তারেক রহমান এবং শুধু আমাদের নয়। এই লড়াই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে বাঁচাবার লড়াই। এই লড়াইয়ে অবশ্যই আমাদরকে শরিক হতে হবে। আমাদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। রাজপথ আমাদেরকে দখল করতে হবে। আর রাজপথের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে আমরা অবশ্যই এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার, জনগণের সমাজ এবং জনগণের রাষ্ট্র তৈরী করবো।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিস্কার করে বলতে চাই, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারকে, আর কালবিলম্ব না করে পদত্যাগ করুন। কারণ আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা মানুষের সঙ্কট সমাধান করতে পারছেন না। সুতরাং এই মুহুর্তে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। আর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে ভোট দিয়ে নতুন সংসদ ও সরকার গঠন করতে হবে।
সমাবেশের আকাশে ড্রোন ওড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ইরান থেকে ২১টা ড্রোন আমদানি করেছে। ড্রোন তারা নিয়ে এসে ভাসানচরে পরীক্ষা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও গিয়েছিলেন। এই ড্রোন তারা কি করবেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মনিটরিং করবেন। আসলে তারা এগুলো নিয়ে এসেছে এদেশের মানুষদেরকে মনিটরিং করার জন্য, যারা গণতন্ত্র চায় তাদেরকে মনিটরিং করবার জন্য।
ড্রোনের নাম শুনলেই আমরা খুব ভয় পাই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দেখছি, ড্রোন দিয়ে কিভাবে অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, এই ড্রোন দিয়ে যারা গণতন্ত্র চায় তাদেরকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও প্রশাসন এই সরকারের দলীয় কর্মচারীতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বলতে চাই- আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আপনারা কোন দল বা ব্যক্তির কর্মকর্তা ও কর্মচারী নন। আপনাদের অবশ্যই এদেশের গণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে এবং বিচার কার্য সঠিকভাবে করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক নেতা বলেন যে, আওয়ামী লীগ একটা ফোর টুয়েন্টি পার্টি। আমি তাদের সাথে একমত। আমি শুধু এইটুকু যোগ করতে চাই, আওয়ামী লীগ একটা প্রতারক দল। আর এই সরকার সম্পূর্ণ প্রতারণা করে আমাদের মানুষের অধিকারগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
১০টা কেজির চাল দেবো, ঘরে ঘরে চাকরি দেবো এবং বিনা পয়সা সার দেবো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার আবার সারের দাম বাড়িয়েছে। আর আজকে ঘরে ঘরে চাকরি তো দূরের কথা কোন শিক্ষিত ছেলেদের কোন চাকরির সুযোগ নেই! আমাদের অনেক শিক্ষিত ছেলে আছে, যারা এখন মোটরবাইক চালায়, হকারের কাজ করে এবং আমাদের অনেক ছেলে রিক্সা ও সিএনজি চালায়!
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিতভাবে এদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমরা একাত্তর সালে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আজকে দুর্ভাগ্যের সাথে এই ৫০ বছর পরে বলতে হয় যে, আওয়ামী লীগ অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের সেই আশা- আকাঙ্খাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপির বিদায়ের সময় হয়েছে- ক্ষমতাসীন এক মন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনাদের (সরকার) অনেক সোর্স আছে। প্রকৃত তথ্য নিয়ে দেখেন, জনগণের ভাষা- বিএনপি বিদায় হবে না। বিদায় হবে এই অবৈধ সরকার। আজকেই এই সমাবেশ সেটাই প্রতিফলন।
দেশ দেউলিয়ার দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ। তাই আজকে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। কারণ এই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার সরকার গণতন্ত্র ফিরে দেবে না। একারণে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এর দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বাংলাদেশের মাটি থেকে হটাতে হবে। কারণ দেশের সকল সমস্যা সমাধানের এই সরকারকে হটানো ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে, এক লাফে এভাবে বাড়ানোর নজির পৃথিবীর কোথাও নেই ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে, দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। গত তিন বছরে কুইকরেন্টালের নামে ৫৪ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এখন লোডশেডিং চলছে, আমরা বিদ্যুৎ পাইনা। অথচ কুইকরেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মালিকদের টাকা দেওয়া বন্ধ হয়নি। আজ এমন কোনো জিনিস নেই তার দাম বাড়েনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশ কারো ভাষণে স্বাধীন হয়নি, এ দেশ স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধের মাধ্যমে। এই দেশ কারো পত্রিক সম্পত্তি নয়। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণ তাদের মালিকানা বুঝে নিবে। বিএনপিতে কোনো বিভেদ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিভেদ আছে জনগণের সাথে সরকারের। একটি গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপিতে বিভেদ খুঁজতে যাবেন না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার পতন আন্দোলন চলমান থাকবে। কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে আসবে। আন্দোলন কখন বেগবান করা হবে-তা পরিবেশ পরিস্থিতি ও সরকারের চরিত্রের ওপর নির্ভর করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এই সরকার যে উন্নয়ন উন্নয়ন করে তা ধোকাবাজির উন্নয়ন। তারা মেগা প্রজেক্ট থেকে মেগা দুর্নীতি করে। দেশের জনগণ এই সরকারের দুর্নীতি দুশানের বিচার করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির অনেক নেতা জীবন দিয়েছেন, গুম ও খুন হয়েছে। গুম ও খুন আর চলতে দেয়া যায় না। তারা (সরকার) দেশ চালাতে পারছে না। কিন্তু মিথ্যা কথা বলছেন। আর যে সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয় না তারা কখনো জনগণের কল্যাণে লাগে না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থকে দেখে এবং সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। এই অবস্থা থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং লড়াই করতে হবে। আর সাহস করে রাজপথে নামতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। জনগণের বুকের মধ্যে ধিকিধিকি ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। এর কারণ এই সরকারের অন্যায় অত্যাচার দুর্নীতি দু:শাসন, সীমাহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পদ্মা সেতু করতে কতো ফুর্তী করলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং নাকি মিউজিয়ামে পাঠিয়েছেন। এখন সরকার দুর্নীতি করতে করতে দেশকে মিউয়াম বানিয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জনগণ এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। এই আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। এই সফলতায় আমাদের বিজয় এনে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন বলেন,‘আপনি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ক্ষমতা ছাড়েন না হলে ক্ষমতা ছাড়ার ব্যবস্থা জনগণ করবে। আজকের এই সমাবেশে প্রমাণ করেছে এই দেশে কোনো চোর, লুটেরা থাকতে পারবে না। কথা পরিষ্কার, আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করবেন আর ক্ষমতায় থাকবেন এদেশের জনগণ এটা মেনে নেবে না। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। এখনো সময় আছে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিন। না হলে এদেশের জনগণ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। আজকের এই সভা প্রমাণ করেছে আর বেশিদিন আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যখন ডাক দিবে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ স্থবির হয়ে যাবে। এটা জনপার্লামেন্ট, এই পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়ে গেছে। আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনি (শেখ হাসিনা) জোর করে ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতা ছাড়েন না হলে ক্ষমতা ছাড়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার প্রধানের নিকট আত্মীয়রা মেঘা প্রজেক্টের নামে মেঘা দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তাই সরকার অর্থ পাচারকারীদের নাম প্রকাশ করছে না। দেশ কোথায় উন্নতি হয়েছে! জনজীবনে অস্থিরতা। ভোগান্তি, যানজট আর লুটপাট। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মিথ্যার স্কুল, ব্যাংক ডাকাতির স্কুল আর সন্ত্রাসী বানানোর স্কুল। রিজভী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তাকে বাউল সম্রাট আখ্যা দিয়ে বলেন, উনি সকাল-সন্ধ্যা সাংবাদিকদের সামনে বাউল সঙ্গীত গান। গানে দেশের কোনো কথা নেই, শুধু বিএনপি আর বিএনপি। তিনি বলেন- "ভোলায় আগে ছাত্রদল হামলা করেছে। তারা হামলা করলে কি পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে"। আপনার এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই পুলিশ আজ বেপরোয়া। রাজপথে ফয়সালা হবে। আন্দোলনের উত্তাল ঢেউয়ে আপনার পুলিশ দেখবে জনগণ কি জিনিস।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শাসছুর রহমান শিমুল বিশ^াস, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মো. মুনির হোসেন, এ্যান ও পূর্নবাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন ভূইয়া শিশির, শেখ মোহাম্মাদ শামীম, হায়দার আলী লেলিন, ওমর ফারুক শাফিন, আমিনুল ইসলাম, রাজিব আহসান, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সহ সভাপতি গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মাদ শামীম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক সর্দার নুরুজ্জামান, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মৎসজীবি দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ লক্ষ লক্ষ জনতা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews