মানবাধিকার কমিশনে ইইউভুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত

জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা

মানবাধিকার কমিশনে ইইউভুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত
মানবাধিকার কমিশনে ইইউভুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত চার দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতেরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং এনজিও’র নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয় বলে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ওদিকে বৈঠকের বিষয়ে টুইট করেছেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিদেশনীতির মূল বিষয় হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে বেশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিময় হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

আলোচনাকালে মানবাধিকারকমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ১২টি বিষয়ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে মানবাধিকারের সব বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করে হয়রানির বিষয়ে কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কামাল উদ্দিন বলেন, সরকার আইনটি পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনে তদারক করবো।

বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশনের কার্যালয়ে যান ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপুই, জার্মানির আখিম ট্রোস্টার, নেদারল্যান্ডসের অ্যান জেরারড ভ্যান লিউয়েন ও সুইডেনের আলেকজান্ড্রা ভন লিন্ডে। তারা নবগঠিত কমিশনকে অভিনন্দন জানান। কমিশনের চেয়ারম্যান কমিশনের কার্যক্রম ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে এসব দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে কমিশনের মতামত জানতে চান রাষ্ট্রদূতগণ। পাশাপাশি, শ্রমিক অধিকার, আসন্ন নির্বাচন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কমিশনের মর্যাদা এবং ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউতে’ কমিশনের প্রতিবেদন প্রণয়ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন সম্পর্কে আলোচনা করেন তারা।

বিভিন্ন এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন পেতে বিলম্ব হয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূতেরা। জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতদের জানান, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সুরক্ষার নামে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। এজন্য আমাদের আদালতের শরণাপন্নও হতে হয়েছে। এজন্য যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার প্রয়োজন আছে, যাতে একটু বিলম্ব হতে পারে।
বৈঠকে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: