মধ্যযুগীয় কায়দায় কিশোরকে নির্যাতন, গ্রাম পুলিশসহ আটক ৩
নির্যাতনের ঘটনায় কিশোরের বাবা মল্লিকেরবেড় গ্রামের অলিয়ার হাওলাদার বাদী হয়ে শনিবার ৫ জনকে আসামি করে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রথম নিউজ, বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে ইয়াছিন আরাফাত (১৪) নামে এক কিশোরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নির্যাতনের ঘটনায় কিশোরের বাবা মল্লিকেরবেড় গ্রামের অলিয়ার হাওলাদার বাদী হয়ে শনিবার ৫ জনকে আসামি করে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃতরা হলেন, মল্লিকেরবেড় গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে মাহমুদ ইসলাম (২৫), মৃত মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে মো. কেরামত হাওলাদার(৫০) ও একই গ্রামের মৃত আ. রহমান খাঁনের ছেলে গ্রাম পুলিশ মো. নাসিম খাঁন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাত-পা বেঁধে লাঠি ও পা দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এক কিশোরকে নির্মম ভাবে মারধর করছেন, তার শরীরের উপর উঠে দাঁড়াচ্ছেন। প্রচণ্ড মারে কিশোরের শরীর বাঁকা হয়ে গেলেও মারধর থামাননি তারা। এমনকি অনেকে তার চিৎকার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেও সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মাহমুদ ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে প্রথমে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে অমানবিক ও নিষ্ঠুরভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নাসিম খাঁন তার সহযোগীদের নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়।
রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম জানান, কিশোরকে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের খবর পেয়ে সেখান থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রাম পুলিশসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।