মাদক কারবারিদের দ্বন্দ্বে যুবককে হত্যা, গ্রেপ্তার-১
প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর সবুজবাগের ওহাব কলোনিতে মাদক কারবারিদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে নাদিম হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ‘দুই ফুট রাব্বি’ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) খবর পেয়ে ওই যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সবুজ থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)মর্গে পাঠানো হয়।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, আজ ভোরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করি। তার ডান পায়ের উরুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে এবং তার মুখের ভেতরে বালি পাওয়া যায়। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ধস্তাধস্তির কারণে উরুতে ছুরিকাঘাত করার পরে পড়ে গিয়ে তার মুখে বালি ঢুকে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায় বলে আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত নাদিম হোসেনের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় সাতটি মাদক মামলা রয়েছে। সে একজন বাকপ্রতিবন্ধী হলেও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং ভিডিও কলে ইশারায় কথা বলত। মাঝেমধ্যে সে লেগুনার হেলপার হিসেবে কাজ করত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মাদক কেনাবেচা নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। হত্যার সঙ্গে অন্যান্য যারা জড়িত তাদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
নিহতের বোনজামাই আলমাস বলেন, আমরা গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে খবর পাই যে, কারা যেন নাদিমকে কুপিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা প্রথমে মুগদা হাসপাতালে যাই। সেখানে তাকে না পেয়ে জানতে পারি সবুজবাগ থানার ওহাব কলোনী মসজিদের সামনে নাদিম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে আমরা নাদিমকে মৃত অবস্থায় পাই। আশপাশে খবর নিয়ে জানতে পারি দুই ফুট রাব্বি ১০-১২ জন নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নাদিমের সাথে পিয়াস নামে আরও এক যুবক ছিল বলে জানতে পেরেছি।
তিনি জানান, নাদিম বাকপ্রতিবন্ধী ছিল, সে কথা বলতে পারত না। এ ঘটনায় নাদিমের বড় ভাই শাহিন বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নাদিম সাত বছরের এক ছেলে সন্তানের জনক ছিল। নাদিম নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া ভুলতা এলাকায় থাকত।