ভোলা পৌরকর্তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানছে না লুটে খাচেছন পৌর সম্পদ
স্থানীয় জজ ও হাইকোটের মামলার রায়ে ও মেয়রের অনুমতি সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জিয়াসুপার মার্কেটের বর্ধিত অংশের শিরির পাশের রুমটি পৌরসভা থেকে ২০১৫ সালের ৮ জুন, ২০১৫/৪৫১ স্মারকের মাধ্যমে আঃ জব্বার, পিতা মৃত আঃ রহিম মাল টেন্ডারে মাধ্যমে লিজ নেন।
প্রথম নিউজ, ভোলা : উচ্চ আদালত এবং স্থানীয় জজ আদালতের প্রায় ১৫টি মামলার রায়ের নির্দেশনা মানছে না ভোলা সদর পৌরকর্তারা। তারা জিয়াসুপার মার্কেটের মালিকানা দোকান মালিককে বুঝিয়ে না দিয়ে লুটে খাচেছন পৌর সম্পদ, মামলায় হেরে যাওয়া প্রতিপক্ষকে রাতের আধারে ১৩ আগষ্ট দোকানের তালা খুলে দিয়েছেন। এ নিয়ে শহরে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয় জজ ও হাইকোটের মামলার রায়ে ও মেয়রের অনুমতি সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জিয়াসুপার মার্কেটের বর্ধিত অংশের শিরির পাশের রুমটি পৌরসভা থেকে ২০১৫ সালের ৮ জুন, ২০১৫/৪৫১ স্মারকের মাধ্যমে আঃ জব্বার, পিতা মৃত আঃ রহিম মাল টেন্ডারে মাধ্যমে লিজ নেন। পৌরসভা তাকে দোকান ঘর বুঝিয়ে দেন। ওই থেকে লিজ প্রাপ্ত মালিক মুদিমালের ব্যাবসা শুরু করেন।
এর মধ্যে আঃ মতিন নামের এক ব্যাক্তি ঘর নিজের দাবী করে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রাতের আধারে তালা ভেঙ্গে দোকানের মালামল লুট ও দোকান দখল করে নেন। পৌর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে দোকান ঘর উদ্ধার করেন। মালিককে তা বুঝিয়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও পৌরকর্তৃপক্ষ তা না করে, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রায়হানুজ্জামানকে দিয়ে দোকান ঘর সিলগালা দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। হঠাৎ ১৩ আগষ্ট রাতে পৌরসভার বাজার পরিদর্শক ও ভাড়া আদায় কারী খালেদ মাহামুদ(স্বজল)কয়েক লক্ষ্য টাকার মালামলসহ দোকান ঘরের সিলগালা করা তালা মামলায় হেরে যাওয়া প্রতিপক্ষকে খুলে দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনাটি আশপাসের ব্যাবসায়ী ও নাইটঘাটেরা দেখে দোকানের মালিক আঃজব্বারের পরিবারকে খবর দেন। তারা এসে দেখে জবর দখলকারীরা মহিলা নিয়ে দোকানের মধ্যে মাটির হাড়ি পাতিল সাজগোছ করে।
পরে মালিকেরা বিষয়টি পৌরকর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন সহযোগীতা না করে নয়ছয় করতে থাকেন। এবিষয়ে বাজার পরিদর্শক ও চাদা আদায়কারী খালেদ মোহান্মদের(স্বজল)কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি কোন কথা বলতে চাননি। পরে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে তিনি তালা খুলে দিয়েছেন। সিলগালা করা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হানুজ্জামান জানান, আমি দোকান ঘর সিলগালা করে তালা-চাবি পৌরসভাকে দিয়ে দিয়েছি। এর পরে আমি দোকান খুলেদিতে আদেশ আমি দেইনি, যে বলেছে সে মিথ্যা কথা বলেছে, আরনবাগত জেলা প্রশাসক এবিষয়ে কিছুই জানেননা। এর মধ্যে খালপাড়ে, জিয়াসুপার মার্কেটে জনগনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কয়েকটি দোকান করতে দিয়েছে বিভিন্ন জনকে। তাদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা নেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এর মধ্যে ওই ঘরগুলো ৫-৬ হাত বদল হয়ে গেছে।
পৌরসভার সচিব আবুল কালাম আজাদ সম্বনয় মিটিংয়ে আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। দোকানের মালিক অসহায় আঃ জব্বার ও পরিবার তাদের শেষ সম্বলটি ফিরে পেতে পৌরকর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন।