ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে ভোগান্তি

 ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে ভোগান্তি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গত কয়েকদিন থেকে রাজধানীতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষেরা।

রোববার (২ জুন) সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজধানীসহ ১৬টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব অঞ্চলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।

দেশের অন্য জেলার মতো তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে রাজধানীবাসীর ওপরও। সূর্যের তীব্র তাপ অনুভূত না হলেও ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে গণপরিবহনের যাত্রী ও পথচারীদের। বেশি বেগ পোহাতে হচ্ছে রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুরদের।

এদিন রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে কথা হয় বলাকা পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী দিপ কুমারের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেলা ১১টায় বের হয়েছি, রাস্তায় বের হওয়ার পর থেকে ঘামছি। বাসে উঠে অবস্থা আরও খারাপ। মানুষের গাদাগাদি, ঠিকমতো ফ্যানও চলে না। খুবই অস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছি।’

মৌচাক মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক হায়দার মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রোদের তাপ খুব বেশি না, কিন্তু ভ্যাপসা গরমে সকাল থেকেই ঘামতে ঘামতে দুর্বল হয়ে পড়েছি। গায়ের জামা দুবার ভিজে আবার শুকিয়েছে। এরকম গরম হলে বেশি প্যাডেল মারতে পারি না। রাতেও গরম থাকে। ভোরবেলা কিছুটা আরামে যাত্রী টানা যায়।’ এ সময় তার সঙ্গে সুর মেলান আরও তিন রিকশাচালক। তারাও ভ্যাসমা গরমে ভোগান্তির কথা জানান।

ওয়ারলেস মোড়ে কথা হয় রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলচালক আলী রায়হানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গরমের মধ্যে অনেকে হেলমেট পরতে অস্বস্তি বোধ করেন। জ্যামে পড়লে রোদে বসে থাকা লাগে। এজন্য রাইডও কমে গেছে।’

ভ্যানচালক গাফফার হোসেন বলেন, ‘বাবুবাজার থেকে কাগজ নিয়ে আসছি। আজ যেমন যানজট, তেমন গরম। এরপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে।’

গরমের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ তরিফুল কবির নেওয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, মুনসুনের সময় (বর্ষাকালের শুরু) বাতাসটা দক্ষিণ থেকে আসে, ফলে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এখন তো জ্যৈষ্ঠ মাস, বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ফলে এখন গরম থাকাটা স্বাভাবিক। তবে বৃষ্টি হলে কিছুটা সহনশীল হবে। বৃষ্টি কমে গেলে আবার গরম বাড়বে।