বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা : অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ আগস্ট
প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৯ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন এ মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১ জানুয়ারি এ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত।
আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক এশারত আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, এদের মধ্যে সাক্ষী ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে জনৈক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন। পরবর্তী সময়ে গত ২৭ ডিসেম্বর এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ঢাকার সিএমএম বরাবর প্রেরণ করেন আদালত।
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০২২ সালের ১ মার্চ নয় আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এ মামলার অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিরা হলেন- নাইমুল হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খাঁন কাজল, তান্না ওরফে তানহা ওরফে মুজাহিদ আজমি তান্না, সিয়াম ও অলি আহমেদ ওরফে জনি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার তার ইকবাল রোডের বাড়িতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করেন। ওই রাতে নৈশভোজের নামে তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে খবর পায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এরপর আনুমানিক রাত ১১টায় ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি দল ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে রাষ্ট্রদূত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। দলটি বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ছেলে মাহবুব মজুমদারকে জীবননাশের হুমকি দেয়। সেসময় মাহবুবকে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করা হয়। বাড়ির প্রধান গেট ধাক্কাধাক্কি করে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যায়।