বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ উপকূলের জেলেরা

গত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক দুই দিনের মাথায় বৈরী আবহাওয়া কারণে লোকসানের মুখে সামুদ্রিক মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িতরা। 

বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ উপকূলের জেলেরা

প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী: বৈরী আবহাওয়া ও গভীর সমুদ্রে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না মেলায় হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার জেলে পরিবারের মাঝে। গত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক দুই দিনের মাথায় বৈরী আবহাওয়া কারণে লোকসানের মুখে সামুদ্রিক মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িতরা। 

পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। তাই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

মৎস্য বিভাগ বলছে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা। এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। যার ফলে বাউফল উপজেলা গ্রাম ও শহরের বাজারে নেই ইলিশের দেখা।

কয়েকজন জেলে জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আমরা অবরোধ শেষে সাগরে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে আবার আবহাওয়া জনিত কারণে ফিরে আসলাম। এরকম একের পর এক বিড়ম্বনায় পড়লাম। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম ঝান্টা বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদীতেও মাছের দেখা মিলবে। আবারও হাজার হাজার জেলেরা সাগরে যাবেন এবং মাছ আহরণ করতে পারবেন। এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।