বিদ্যুৎকেন্দ্র-গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানের সঙ্গে বৈঠকে আজ বুধবার এই আগ্রহের কথা জানায় রাশিয়া আইনসভার নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত স্টেট ডুমার নব গঠিত বাংলাদেশবিষয়ক সংসদীয় গ্রুপ।
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী রাশিয়া। রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানের সঙ্গে বৈঠকে আজ বুধবার এই আগ্রহের কথা জানায় রাশিয়া আইনসভার নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত স্টেট ডুমার নব গঠিত বাংলাদেশবিষয়ক সংসদীয় গ্রুপ। রাশিয়ার পার্লামেন্ট ভবন স্টেট ডুমায় অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশবিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী ও স্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান মিসেস স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন— স্টেট ডুমার আইন ও সংসদবিষয়ক ডেপুটি চেয়ারম্যান মিসেস ইরিনা ভিক্টোরোভনা বেলিখ, স্টেট ডুমার সদস্য নিকোলাই রবার্টোভিচ বুডুয়েভ ও আলেক্সি সিটনিকভনের। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও অংশ নেন দূতাবাসের উপপ্রধান ফয়সাল আহমদ ও কাউন্সেলর শুভাশিস সরদার।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, খেলাধুলা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, তৈরি পোশাকশিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বেতলানা সের্গেইভনা বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত কামরুল বলেন, দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত ক্ষেত্রের বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার ওপর জোর দেওয়া হয়। রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সময় দুই দেশের সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সফর বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রথাগত ও অপ্রচলিত খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে।