পশ্চিমা বিরোধী নতুন পররাষ্ট্রনীতি রাশিয়ার, সম্পর্ক গড়বে চীন-ভারতের সাথে
পশ্চিমা "আধিপত্য" হ্রাস এবং ভবিষ্যতের জন্য চীন ও ভারতকে প্রধান অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার নতুন এক পররাষ্ট্রনীতি কৌশলে স্বাক্ষর করেছেন।
প্রথম নিউজ, অনলােইন ডেস্ক: পশ্চিমা "আধিপত্য" হ্রাস এবং ভবিষ্যতের জন্য চীন ও ভারতকে প্রধান অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার নতুন এক পররাষ্ট্রনীতি কৌশলে স্বাক্ষর করেছেন। এ সংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, "রাশিয়ান ফেডারেশন বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং 'আনফ্রেন্ডলি' দেশগুলোর আধিপত্যের চিহ্নগুলো দূর করার উপর অগ্রাধিকার দিতে চায়।" আনফ্রেন্ডলি দেশ- কথাটি রাশিয়া বিশেষ করে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার সেই সমস্ত দেশগুলোকে বোঝাতে ব্যবহার করে, যেগুলো ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে এবং (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করেছে।
এসব খবর দিয়ে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৪২-পৃষ্ঠার নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার লক্ষ্য হবে যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য নব্য-ঔপনিবেশিক এবং আধিপত্যবাদী উদ্দেশ্যকে প্রত্যাখ্যান করার শর্ত তৈরি করা। (রাশিয়ার) নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নথিটি ঘোষণা করে পুতিন বলেন, বিশ্বজুড়ে 'আমূল পরিবর্তনের' কারণে বৈশ্বিক মঞ্চে নিজের অংশগ্রহণের জন্য রাশিয়ার কৌশলের আপডেট করাটা জরুরি ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ উক্ত কৌশলটি (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তার মুখে রাশিয়ান নেতার ক্রমবর্ধমান পশ্চিমা বিরোধী অবস্থানকেই প্রতিফলিত করে, যেমনটি ফেব্রুয়ারিতে প্রদত্ত তার রাষ্ট্রীয় ভাষণেও দেখা গিয়েছিল।
রাশিয়া বিশ্ব মঞ্চে ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ দেশটি আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোর সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়েছে (যেমন চীন এবং ভারতের সাথে) যারা ইউক্রেনে তার আক্রমণের প্রতি অধিক নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। মস্কো তার (ঐতিহ্যগত) ইউরোপীয় বাজার থেকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চীন এবং ভারত উভয়ের কাছে জ্বালানি সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: