পদ্মা হাসপাতালে খতনায় শিশুর ক্ষতি, কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: রাজধানীর পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে খতনা করানোর সময় এক শিশুর পুরুষাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিশু ইসমাইলের চিকিৎসায় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শিশুর মা কুলসুম বেগমের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ রবিবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রিটের বিবাদী স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক), পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মো.মিজানুর রহমানকে (ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই শিশুর মায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার। ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত বছরের ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া অভিযোগে ওই শিশুর মা বলেন, ইসমাইলের বয়স দুই বৎসর। তার প্রস্রাবের সমস্যা হওয়ায় ডা. মিজানুর রহমানের চেম্বারে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, দ্রুত ইসমাইলের মুসলমানি করালে প্রস্রাবের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে পদ্মা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এরপর ওই বছরের ২৩ মার্চ পদ্মা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ডা. মিজানুর রহমান ছেলের খতনা করায়। পরবর্তীতে আমার ছেলেকে বাসায় নিয়ে গেলে দেখা যায়, তার প্রস্রাবের রাস্তার পেছনে নিচের দিকে ছিদ্র আছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারকে অবহিত করলে ছেলের প্রস্রাবের রাস্তায় পাইপ দিয়ে রাখে।
কুলসুম আক্তার বলেন, ডা. মিজানুর রহমানের অবহেলার জন্য আমার ছেলের পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে তাহার লিঙ্গের গোড়ায় ছিদ্র হয়ে জীবন বিপন্নের পথে চলে যাচ্ছে। এ সংক্রান্তে বিবাদীদের (রিট মামলার বিবাদী) সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বলে আর যোগাযযোগ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।