নারায়ণগঞ্জে ফোর মার্ডার: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস পেলেন ১১

নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে ২০০২ সালে ছাত্রলীগ নেতাসহ চার জনকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট

নারায়ণগঞ্জে ফোর মার্ডার: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস পেলেন ১১

প্রথম নিউজ, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে ২০০২ সালে ছাত্রলীগ নেতাসহ চার জনকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আর বাকি ৩ আসামি মারা গেছেন বলে জাগো নিউজ নিশ্চিত করেছেন আপিল আবেদনকারীর আইনজীবী।


এর আগে গত ১২ মার্চ মামলায় ২৩ আসামির ফাঁসির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য দিন আজ ঠিক করেন হাইকোর্ট। গত ১২ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ।

এর আগে ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে ২০০২ সালে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চার খুন মামলায় ২৩ আসামির ফাঁসির রায় দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন। রায়ের দিন ১৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। নিম্ন আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ মামলায় হাইকোর্টের শুনানি হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১২ মার্চ বিলুপ্ত সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুর নির্দেশে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আ. বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক ও কবির হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত আ. বারেকের বাবা আজগর আলী মেম্বার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ২১ জনকে সাক্ষী এবং ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

চার খুনের মামলার প্রধান আসামি সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুসহ মোট ১৯ জন কারাগারে রয়েছেন।