নিরাপত্তা বাড়ছে নয়াপল্টনে, টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‍্যাট সদস্যরা

নিরাপত্তা বাড়ছে নয়াপল্টনে, টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‍্যাট সদস্যরা

প্রথম  নিউজ, ঢাকা : বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে পুলিশের পাশাপাশি নয়াপল্টনে টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবির বিশেষায়িত টিম র‍্যাপিড অ্যাকশন টিমের (র‍্যাট) সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। বিজিবির এই টিম ফকিরাপুল-নাইটিঙ্গেল মোড়ে বারবার টহল দিচ্ছে। 


মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নয়াপল্টন, ফকিরকপুল, নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি টহল দেয় বিজিবির বিশেষায়িত এ দল। এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, হাতিরপুল, মগবাজার, মিন্টু রোড, রমনা, কাকরাইল, হাইকোর্ট এবং সচিবালয় এলাকায় তাদের টহল দিতে দেখা গেছে।

বিজিবির বিশেষায়িত এই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেজর আবরার আল মেহবুব। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হলে মেজর মেহবুব বলেন, দ্রুততার সঙ্গে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে মুভমেন্টের জন্য বিশেষ এই টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকার যেসব স্পটগুলোতে নাশকতা বা সহিংস অবস্থা তৈরি হতে পারে এমন সব জায়গায় আমাদের টিম টহল দিচ্ছে।


মেজর মেহবুব জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়ে টহল দিচ্ছি। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বিজিবি টহল দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, গাড়ি চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে তারা। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।

শনিবারের মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।

তবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ঔষধ পরিবহন অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।