তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

প্রথম নিউজ, ঢাকা : সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের করা আপিলের শুনানি সাত বছর পর শুরু হয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এ আপিল শুনানি শুরু হয়।

আদালতে বাস মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।

এর আগে, ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ওই মামলার রায় দেন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ। রায়ে তারেক মাসুদের পরিবারকে চার কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। পরে বাস মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণ রায়ের স্থগিত চেয়ে একটি লিভ টু আপিল করলে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা করে পুলিশ।

২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলাদা দুটি মামলা করেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুইটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। 

নিম্ন আদালত থেকে মামলা দুইটি স্থানান্তরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে ওই আবেদন দুইটি করা হয়।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে ওই দুটি আবেদন করেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ এবং মিশুক মনিরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও তাদের ছেলে। যার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি কেন উচ্চ আদালতে বদলি করা হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মামলা দুইটির নথি তলব করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলা ও মোটর ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে করা মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচার বিচারপতি।