ঢাবিতে হল-বিভাগ উন্নয়ন ফি নিয়ে নবীনদের ভোগান্তি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।  শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কোনোভাবে কাম্য নয়। এটার সমাধান করা হবে।

ঢাবিতে হল-বিভাগ উন্নয়ন ফি নিয়ে নবীনদের ভোগান্তি

প্রথম নিউজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুযেট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার সব কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা হলেও পরীক্ষা পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি অনলাইনে দেওয়া সম্ভব হলেও হল ও বিভাগ উন্নয়ন ফি দিতে গিয়ে তাদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে বিভাগ ও হল উন্নয়ন ফি জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, যা প্রশাসনিক ভবন ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর পর্যন্ত চলে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নবীন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভর্তি ফি’র সাথে এই টাকাগুলোও অনলাইনে নিয়ে নিলে এই গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে লাইনে দাঁড়াতে হতো না।

এ সময় পাশে থাকা অভিভাবক হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এটি ডিজিটাল যুগে ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষ চাইলে এটার একটা সুন্দর সমাধান করতে পারে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে সব ইউনিটে ভর্তির ৫ম মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ৫ম মনোনয়নে প্রাপ্ত বিষয়ের নাম দেখতে পাওয়া পাচ্ছে। বিষয় মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ১০ আগস্ট শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের ১৪ আগস্টের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ভর্তির জন্য মনোনীত বিভাগ/ইনস্টিটিউটে আসার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব ফি পরিশোধ করে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।

উল্লেখ্য, যে বিভাগ/হলের জন্য প্রযোজ্য আনুষঙ্গিক জামানত/ফি সমূহ স্ব স্ব বিভাগ/ইনস্টিটিউট/হলে ভর্তির সময়ে সশরীরে হাজির হয়ে পরিশোধ করতে হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস সিংশ্লষ্টরা জানান, বর্তমানে ৪৩টি মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি ফি জমা দিতে পারেন। কিন্তু বিভাগ ও হল কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের ফি-ও অনলাইনে নেওয়া সম্ভব। এটি নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও পরবর্তীতে কার্যকর করা হয়নি।

হল সংশ্লিষ্টরা জানান, হল প্রভোস্টরা চাইলে সেটি সম্ভব। কিন্তু সরকারি অডিটের সময় সেটি একটু সমস্যা হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফি জিমা দিয়ে রশিদ প্রিন্ট করে আনলে আমরা সে অনুযায়ী সিরিয়াল করতে পারব। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।  শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কোনোভাবে কাম্য নয়। এটার সমাধান করা হবে।