ঢাকায় বনায়নে ৩ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ছক করার চেষ্টা করছি- পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

ঢাকায় বনায়নে ৩ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ছক করার চেষ্টা করছি- পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ঢাকায় বনায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে একটি ছক দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

গত এপ্রিলে ঢাকায় ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা কমাতে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোন কোন জায়গায় বনায়ন করতে পারি, কী কী গাছ লাগাতে পারি, তা ঠিক করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে একটা ছক দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। সবুজ এলাকা হারিয়েছি, জলাশয়ও নেই। কাজেই নগর উন্নয়নে যে মূল পরিকল্পনা আছে, সেটার মধ্যে এসবও নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা করতে পারি, কত শতাংশ থাকতে হবে, সেটা নির্ধারণ করতে পারি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে যে মান আছে, সেটা বাংলাদেশে কতটুকু কার্যকর করতে পারবো, তা জানি না। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এখানে কিভাবে সেই জায়গাটা বের করবো? এরইমধ্যে আমরা কিছু কিছু কাজ শুরু করেছি।'

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, 'রাজউকের যে পূর্বাচল প্রকল্প আছে, সেখানে একটি বড় অংশ বনায়নের জন্য রেখে দিয়েছি । কিন্তু পুরো এলাকা যদি কংক্রিট হয়ে যায়, তাহলে সেখানে কোনো সুযোগ থাকছে না।'

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশগত যে ন্যূনতম চাহিদা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করি, সেটা আমরা করতে পারবো। সেটা করা না হলে ঢাকা শহর তার বাসযোগ্যতা হারাবে।'

পৃথিবীর ১০টি নদী সবচেয়ে বেশি দূষিত জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এরাই সবচেয়ে বেশি দূষণ বহন করছে। এরমধ্যে দুটো বাংলাদেশের পদ্মা ও যমুনা। এখানে শুধু আমাদের দেশের পলিথিন ও প্লাস্টিক না, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোরও দূষণ আছে। আমাদের যে অবস্থান, তাতে এসব দূষণ নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘কাজেই আমাদের নিজস্ব দূষণ ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা দূষণও আছে। যারা প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করবে, তাদের আমরা দূষণের জন্য দায়ী করবো। উৎপাদন ও নকশায় কিভাবে তারা প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনবে, সেটাও বলা হবে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে বলেছিলাম, চলতি মাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করবো, সেই কাজ চলছে।'

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইপিআরের খসড়া বড় বড় কোম্পানিগুলো ও চেম্বারের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যখন প্লাস্টিকের কথা বলি, সেটা ইপিআর পরবর্তী সার্কুলার ইকনোমির সঙ্গে জড়িত। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।’