ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করে নারীদের অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে
প্রথম নিউজ, ঢাকা : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, আইনি সহায়তা ও সেবাদানকারীদের কাজের ক্ষেত্রে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করে সহিংসতার শিকার নারীদের অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা-মানবাধিকার লঙ্ঘন, আসুন সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যার জন্য সমন্বিত সেবা নিশ্চিত করি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠুভাবে আইনের প্রয়োগও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত থেকে প্রয়োজন অনুসারে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদেরকে সেবা দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন উচ্চতর পদে নারীরা কর্মরত আছেন। সহিংসতা প্রতিরোধে তারা অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তবুও নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি নারী আন্দোলন ও রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও কন্যার জন্য সহনশীল ও অনুভূতিশীলতার জায়গা থেকে কাজ করার লক্ষ্যে জেন্ডার জাস্টিস সিস্টেম উন্নত করতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও মহিলা পরিষদ পরস্পর সমন্বয় করে কাজ করলে তা অধিক কার্যকর ও প্রসারিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হুমায়রা পারভীন বলেন, অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশের বেশি নারী পরিবারের বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সাইবার প্লেসে গড়ে ৩৫০টির বেশি নারী নির্যাতনের মামলা হয়ে থাকে। উইমেন সাপোর্ট ও ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, যেখানে পারিবারিক এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।
নারী নির্যাতন রোধে নারী পুলিশকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে প্রচলিত আইন এবং মামলার রায় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রথম অধিবেশনে ‘সেক্স ও জেন্ডার ধারণা: পরিপ্রেক্ষিত নারীর মানবাধিকার’ সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।