ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ চান সুজন সম্পাদক 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ চান সুজন সম্পাদক 

প্রথম নিউজ, ঢাকা: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের একজন রকস্টার হিসেবে আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন  সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে  মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সুজন সম্পাদক। প্রজন্ম একাডেমির উদ্যোগে 'দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা'- শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। 

বদিউল আলম মজুমদার বলেন,  ড. ইউনূস বিদেশে একজন অত্যন্ত পরিচিত মুখ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি একজন রকস্টার। আমরা বিদেশে তার এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। 
আমার প্রত্যাশা, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করে তার প্রতি সদয় আচরণ করা হবে।
তিনি বলেন,  ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি অন্যায় করে থাকেন, আইন অমান্য করে থাকেন- তাহলে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।  কিন্তু তিনি যদি কোনো অন্যায় না করেন, তাহলে তাকে হয়রানি বন্ধ করা হোক। বিদেশিদের ব্যাপক ধারণা, ড. ইউনূসকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সুজন সম্পাদক বলেন, দেশবাসীও মনে করে- ড. ইউনূসকে এই সরকার নানাভাবে হয়রানি করছে।  অথচ ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে অনন্য  ভূমিকা রাখার জন্য  ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজন্ম একাডেমির উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ। সংগঠনের সভাপতি কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন -বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা মিজানুর রহমান, আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ইসা, সাংবাদিক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।