জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে
প্রথম নিউজ, ঢাকা : দেশের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা বজ্রপাত কখনোই ভয় পেতেন না। উঁচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে দীর্ঘ আকৃতির বৃক্ষরাজি তাদের সুরক্ষা দিয়ে এসেছে সব সময়। তবে সে পরিস্থিতি বদলেছে। এখন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখলেই দ্রুত বাড়ি ফেরেন অথবা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। কারণ, সম্প্রতি পাহাড়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যু।
গত ৫ মে ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি গোরস্থান এলাকায় বজ্রপাতে গাড়িচালক ছাদেক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়। এসময় হাসিনার আরেক সন্তান ১১ বছর বয়সী মো. হাবিজ ঘরের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। একই দিন জেলার মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান আরও দুজন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অঞ্চলটি প্রথমবারের মতো এমন প্রাণঘাতী বজ্রপাতের সম্মুখীন হয়েছে। এটি ঘটেছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ জাগো নিউজকে বলেন, এবারের বজ্রপাতের বড় ধরনের ভিন্নতা আছে। এটি ঘটেছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। এখানে ভূমিরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বঙ্গোপসাগর থেকে যে বাষ্পীভূত বাতাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, সেটি সরাসরি উত্তরে গিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা সিলেটের পাহাড়ে বাধাগ্রস্ত হয়। তখন মেঘ তৈরি হয়। এ মেঘের কারণে দেশের সিলেট অঞ্চলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়।ক. বজ্রপাতে মৃত্যুর স্থানিক বণ্টন এবং খ. ২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর হারের স্থানিক বণ্টন