জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা  জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শ্রদ্ধা

প্রথম নিউজ, ঢাকা:  বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা  জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হামলা নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন নস্যাত করা যাবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি একটা কথা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, আমরা যদি ক্ষমতায় আসি একটা নতুন কমিশন গঠন করবো। সেই কমিশটা হচ্ছে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে যে হত্যা সেই হত্যার বিচারের জন্য আমরা নতুন কমিশন গঠন করব । আমরা জানতে চাই, কারা এই হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র করেছে সেটাও ব্যবস্থা নেবো।
 অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ন্যায়সঙ্গত যে আন্দোলন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলনকে নতসাত করবার জন্য ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারের পুলিশের পেটুয়া বাহিনীর হামলায় সারা দেশের অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছে, অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজকেও নারায়নগঞ্জের ফতুল্লাতে আপনারা শুনেছেন একজন নিহত হয়েছেন। আমরা আজকে এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এসে বিচারের দাবি করছি। একটি কথা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, এই হত্যা করে, গুম করে, হামলা করে জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে কখনোই দমন করা যাবে না। জনগণের বিজয় চলছে, চলতে থাকবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।

মির্জা ফখরুল ‘দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। আজকের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে, যিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করে ছিলেন। তিনি দল গঠনের মধ্যে দিয়ে বাংলার রাজনীতে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছিলেন। সূচনা করেছিলেন— মুক্তবাজার অর্থনীতি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা। আমরা আজকের এই দিনটিতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই দলের চেয়ারপারসন বর্তমানে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন। এখনো লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

বিএনপি প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমানের অবদান এবং এই দলের নেতৃত্বদানের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও  তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদেরকে অভিনন্দন জানান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুইদিনের কর্মসূচির মধ্যে বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও পরদিন শুক্রবার বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।  দিবসটি উপলক্ষে ভোরে নয়া পল্টন ও গুলশানের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলের অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুইদিনের কর্মসূচির মধ্যে বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও পরদিন শুক্রবার বেলা আড়াইটায় গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে নয়া পল্টন ও গুলশানের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর,  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম,  জয়নুল আবদিন ফারুক, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক মীর সরফত আলী সপু, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ সম্পাদক শাম্মী আখতার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু,  সাবেক সহ সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সহ সভাপতি আনু মোহাম্মাদ শামীম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom