জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক নৈশভোজে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির
জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির

প্রথম নিউজ, ঢাকা : চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক নৈশভোজে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহবায়ক কবি ও কলামনিস্ট ফরহাদ মজহার, সদস্য সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ অতিথিদের স্বাগত জানান। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শওকত মাহমুদ। আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনসাফ কায়েম কমিটির ডা. ফরহাত হোসেন। তিনি বলেন, এই কমিটি অনেক পুরনো একটি সংগঠন। ইনসাফ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করবে এই সংগঠন। 

সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, যথাসম্ভব বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আন্দোলন-সংগ্রাম তখনই পরিণতি লাভ করবে যদি তা জনগণের বিজয়ী গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ছোট বড় সকল দলকে নিয়ে একটি অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।  প্রস্তবনায় বলা হয়, জনগণের বিজয়ী গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তী সরকারের কাজ হবে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী একটি নতুন ‘গঠনতন্ত্র’ প্রণয়ণের জন্য কাজে হাত দেয়া। শান্তি-শৃঙ্খলা ও জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ হিসাবে শক্তিশালী গণপ্রতিরক্ষার ব্যবস্থা কায়েমের মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোনো ষড়যন্ত্র হতে না পারে সে জন্য আইনরক্ষী, সুবিধাভোগী ও আমলাদের মধ্যে গণবিরোধীদের শনাক্ত করা। দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা, লুটে নেয়া বাংলাদেশের জনগণের অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের ব্যবস্থা করা, অবিলম্বে স্থানীয় সরকারের পুনর্গঠনসহ খাদ্য, পুষ্টি, আবাস, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রস্তাবনায় বলা হয়,  এরপর অন্তবর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করা। নতুন গঠনতন্ত্রে স্বাধীন, নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করবার জন্য নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। 

এতে বলা হয়, নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তবর্তী জাতীয় সরকার পদত্যাগ করবে এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। প্রস্তাবনায় বলা হয়, জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: