জাতীয় যুব গেমসে লড়বেন ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ

২০১৮ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো শেখ কামাল জাতীয় যুব গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন

জাতীয় যুব গেমসে লড়বেন ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ
জাতীয় যুব গেমসে লড়বেন ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো শেখ কামাল জাতীয় যুব গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর আগে আর্মি স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ক্রীড়ানুরাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা অডিটরিয়ামে যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্ব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। পর্বটির ২৪ ডিসিপ্লিনের সব ভেন্যু ঢাকাতেই নির্ধারিত হয়েছে। সেজন্য অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটরা ঢাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।

শেখ কামাল যুব গেমস আয়োজনের মূল লক্ষ্য- ভবিষ্যতের জন্য মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরি। তবে এবার গেমসের উদ্বোধন ও সমাপনীতে খুব জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিওএ সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত পরিসরে এবং অনেকটা কৃচ্ছতার মধ্যেই সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করব। আমাদের সিরিমনিজ কমিটি এই নিয়ে কাজ করছে।’

এই গেমসের মাধ্যমে প্রাপ্ত অ্যাথলেটদের বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ করানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ‘গত যুব গেমসের মেধাবী ক্রীড়াবিদদের অনেকেই বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণে ছিল। এবারও সেই ব্যবস্থা থাকবে।’

চূড়ান্ত পর্বের ১৯৩টি ইভেন্টে স্বর্ণ ও রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ থাকবে ২৮৭টি। এসব পদকের বিপরীতে ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ নেবেন। ২৬ জানুয়ারি থেকে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও আগামীকাল থেকে চূড়ান্ত পর্বের কার্যক্রম শুরু হবে। আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় মশাল প্রজ্বলন করবেন বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।

গেমসের চূড়ান্ত পর্বে খেলোয়াড়দের খাবারের জন্য জনপ্রতি দৈনিক ৬০০ টাকা, আবাসন ৬০০ ও এককালীন যাতায়াত ১৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যে একজন ক্রীড়াবিদের পেছনে দৈনিক ৬০০ টাকা খাবার ব্যয় খুব পর্যাপ্ত নয়। এ বিষয়ে বিওএ সহ-সভাপতি বলেন, ‘১ হাজার করে দিতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগত। সব কিছু বিচার-বিবেচনা ও ফেডারেশনগুলোর মতামত নিয়ে আমরা এটি নির্ধারণ করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজা, সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ, উপ–মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও গেমসের প্রধান সমন্বয়কারী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশরাফ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: