আশুলিয়ায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী-সন্তান দগ্ধ

প্রথম নিউজ, সাভার: সাভারের আশুলিয়ায় ফের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাসহ স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মণ্ডলের মালিকানাধীন দোতলা ভাড়াবাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা জেরার মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। রান্নার কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহার করত পরিবারটি। স্থানীয়রা জানায়, সকালে দুর্গাপুর এলাকার সোহাগ মণ্ডলের ভাড়া বাড়িতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু কন্যা দগ্ধ হলে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকালে রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলেই এ বিস্ফোরেণ ঘটনা ঘটে। তাতে তিনজনই দগ্ধ হয়। তবে শিশুটিই বেশি দগ্ধ হয়েছে। ঘরের কিছু জিনিসও আগুনে পুড়েছে। বিস্ফোরণে তাদের ঘরের জানালাও বেঁকে গেছে। গ্যাস লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
বাড়ির মালিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ মন্ডল জানান, ‘যে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থাকি না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার ওই বাড়িতে গ্যাসের কোনো লাইন নাই। ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার ব্যাবহার করে। বিষয়টি আসলে কি হয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে জানার পরই বলতে পারব।’ ফায়ার সার্ভিসের জোন-৪ এর উপ-পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘রবিবার ভোরে আমরা জিরাবো এবং কাঠগড়া এলাকায় দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নির্বাপন করেছি। কিন্তু গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা গেছে এবং বাকিরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।