ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ আনন্দ মিছিল বের করলে অপর পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের স্থানীয় সংগঠন গত ২৭ মে উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি নবায়নের লক্ষ্যে কর্মীসভা কর্মসূচি ঘোষণা করে। শুক্রবার (৯ জুন) ১নম্বর উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীসভার মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় একটি আহ্বায়ক কমিটি।
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১০ জুন) ২নম্বর উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ খাসেরহাট বাজারে আনন্দ মিছিল শুরু করে সংগঠনটির ওই ইউনিয়নের পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। এসময় মিছিলকারীদের পদবঞ্চিতরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় আহত হয়েছেন রাকিব হোসেন, আসিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, রাকিব ও জাহিদসহ ছাত্রলীগের প্রায় ১০ কর্মী। আহতদের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের একজন মেহেদী হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে বলেন, ‘আমরা পদপ্রত্যাশী আরাফাত হাওলাদারের নেতৃত্বে শনিবারের কর্মীসভা নিয়ে আনন্দ মিছিল নিয়ে বের হই। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।’
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার পর রাতেই আহত কর্মীদের দেখতে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পাপেল মাহমুদ, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ, বামনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আকরাম মিজিসহ বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক পাপেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্র লীগের কর্মীদের উপর হামলা করা ঠিক হয়নি। যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নিবো। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’