গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

প্রথম নিউজ, গাজীপুর : গাজীপুরের বাইমাইল এলাকায় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী আয়নাল হকের ফাঁসির রায়  বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোন্তাকিম আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহনেওয়াজ ও হাসিনা মোমতাজ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির বলেন, আাসামির বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট তার ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর গাজীপুরের বাইমাইল এলাকায় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী আয়নাল হকের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত আনোয়ারা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার আয়নাল হকের স্ত্রী। দণ্ডপ্রাপ্ত আয়নাল হক একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।

গাজীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হারিছ উদ্দিন আহম্মদ জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আয়নালের সঙ্গে আনোয়ারার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর আনোয়ারা বাবার বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন। তার আগের সংসারে আনোয়ার হোসেন নামে একটি ছেলে এবং আয়নাল-আনোয়ারা দম্পতির সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীর সন্তান এবং দ্বিতীয় স্বামী ও সন্তানকে জমি লিখে দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি আনোয়ারাকে বিষ খাওয়ানোর পর শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়।

২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে কোনাবাড়ি ফাঁড়ির টহল পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আয়নাল ও ভাই আমজাদ হোসেনকে আটক করে।

২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক দুজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত করে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আজহারুল ইসলাম। পরে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে নিহত আনোয়ারার ভাই আমজাদ হোসেন আঞ্জুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সিআইডি থেকে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিআইবি) পাঠানো হয়।

পিআইবি’র পরিদর্শক মো. ওবায়দুর রহমান খান তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।