কর্মস্থল থেকে কৌশলে এসে স্ত্রীকে হত্যা, পুলিশ সদস্যের স্বীকারোক্তি
বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত সুজন হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
প্রথম নিউজ ময়মনসিংহ: কাগজপত্রে সুজন হাসান পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। কিন্তু এলাকায় এসে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফের কর্মস্থলে চলে যান। স্ত্রীর মামলায় জেল খাটার ক্ষোভে ময়মনসিংহ সদরের মৌসুমী আক্তারকে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত সুজন হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তি দেন তিনি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া গ্রামের নলকুড়িয়া বিলের ধানক্ষেত থেকে গত বুধবার সকালে মৌসুমী আক্তারের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আমান উল্লার মেয়ে। ২০১৮ সালে মৌসুমীর বিয়ে হয় মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের সৈয়দগ্রামের সুজন হাসানের সঙ্গে। এর আগে ২০১৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন সুজন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
কিন্তু ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা ঠুকে দেন মৌসুমী। এই মামলায় দুই মাস কারাগারে ছিলেন সুজন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে মামলা তুলে নেন মৌসুমী। কিন্তু আবারও যৌতুকের জন্য চাপ শুরু হলে গত আট মাস ধরে বাবার বাড়ি অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখানে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের বিরোধের জেরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি এলাকায় যান সুজন। স্ত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বড় বোন আয়েশা আক্তার শাহনাজ। এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সুজনের কর্দমাক্ত জ্যাকেটও। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সুজন কর্মস্থলে হাজির দেখিয়ে এলাকায় এসে খুন করে আবার ফিরে যান। স্ত্রীর সঙ্গে মামলার বিরোধে হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: