কুমিল্লায় চিকিৎসা অবহেলায় মা-নবজাতকের মৃত্যু

মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম মুন্নী আক্তার। তিনি আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাজগড়া গ্রামের মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী।

কুমিল্লায় চিকিৎসা অবহেলায় মা-নবজাতকের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, কুমিল্লা: কুমিল্লায় চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর কাসারিপট্টি এলাকার কাজী ফাতেমা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা পালিয়ে যান।

মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম মুন্নী আক্তার। তিনি আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাজগড়া গ্রামের মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী।

স্বজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার প্রসবব্যথা শুরু হলে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মুন্নী আক্তারকে কাজী ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কর্তব্যরত নার্সরা নরমাল ডেলিভারি কথা জানান। রোগীর কোনো সমস্যা নাই। হাসপাতালে অপারেশন করার মতো কোনো যন্ত্রপাতি না। নরমাল ডেলিভারির নামে মুন্নীকে হত্যা করা হয়েছে।

গৃহবধূর বোন পিংকি আকতার বলেন, আমার বোনকে তারা হত্যা করেছে। এ হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক নেই। প্রশাসনের কাছে আমার বোন হত্যার বিচার চাই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাওসা নাসিম বলেন, আমাদের ভুলের কারণে রোগী মারা যায় নি। নরমাল ডেলিভারি করার সময় চাপ সহ্য করতে না পেরে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় আমরা রোগীকে অন্য হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেই। এসময় পথে রোগীর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ বলেন, রোগীর সব কিছু ভালো ছিল। গাইনি ডাক্তারদের পরামর্শে আমরা নরমাল ডেলিভারি করি। মূলত আমরা ইমারজেন্সি রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফার করে দিই। আমাদের হাসপাতাল যেহেতু স্পেশালাইজড হাসপাতাল নয় তাই এখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলার সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার  বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।