কাপাসিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণের ৩৩ ঘন্টা পর উদ্ধার
সে কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মাই টিভির কাপাসিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. মজিবুর রহমানের পুত্র।
প্রথম নিউজ. কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাংবাদিক পুত্র স্কুল শিক্ষার্থী মোঃ কৌশিককে (১৪) অপহরণের ৩৩ ঘন্টা পর ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে। সে কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মাই টিভির কাপাসিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. মজিবুর রহমানের পুত্র।
উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থী মোঃ কৌশিক জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বলাকোনা গ্রামের বাড়ি থেকে তরগাঁও খেয়াঘাট এলাকায় কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার জন্য আমরাইদ বাজারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এমন সময় কয়েকজন যাত্রীসহ একটি সিএনজি অটোরিকশা চালক ওই এলাকায় যাবে জানিয়ে তাকে উঠার আহবান জানান। সে তাতে উঠার কিছুক্ষণ পর তাকে কিছু একটা ঘ্রাণ শুকিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে সে নিজেকে একটি ইটভাটার শ্রমিকদের ঘরে দেখতে পায়। তার কিছুক্ষণ পরেই অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে টাকা চেয়ে তার পিতা মজিবুর রহমানের সাথে কথা বলিয়ে দেয়।
ওই শিক্ষার্থীর পিতা সাংবাদিক মোঃ মজিবুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার ছেলের অবস্থান জানতে চান। জবাবে তিনি তার ছেলে স্কুলে জানালে অপহরণকারীরা তার ছেলের সাথে কথা বলতে বলেন এবং ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে হলে তাদের নির্ধারিত স্থান হাইলজোর এলাকায় ৭ লাখ টাকা নিয়ে হাজির হতে বলে। বিষয়টি থানা পুলিশকে বা অন্য কাউকে জানাতে তারা কঠোরভাবে নিষেধ করে। এভাবে মোবাইল ফোনে সারাদিন দর কষাকষি ও কথা চলতে থাকলেও ছেলেকে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা না দেখে তিনি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কাপাসিয়া থানায় ঘটনাটি জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার বিকেলে অপহরণকারীরা রায়েদ ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া গজারীবনে অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও তার স্বজনরা অবস্থান নেন। এ সময় তাদের অবস্থান টের পেয়ে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয় এবং সে দৌড়ে হাইলজোর কলেজ রোড এলাকায় পৌঁছলে ছেলেকে কিছুটা আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে কাপাসিয়া থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই বনে কাঠ কাটে এমন এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।