কন্যাশিশু শিক্ষার্থীর ওপর বর্বরতা শিক্ষকের!

বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কন্যাশিশু শিক্ষার্থীর ওপর বর্বরতা শিক্ষকের!

প্রথম নিউজ, ঝিনাইদহ: কালীগঞ্জে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরি হওয়ায় ফারহানা খাতুন নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর দুই পাশের চুল উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে শিশু শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির একজন ছাত্রী। বুধবার ক্লাসের সময়ে নিজ ব্যাগ থেকে পাঠ্যবই বের করতে দেরি করলে পাঠদানকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন ওই শিক্ষার্থীর দুই কানের ওপর থাকা চুল ধরে উঁচু করে রাখেন কিছুক্ষণ। একপর্যায়ে চুল ছিঁড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শিশুটির বাবা আরও জানান, তার মেয়েকে সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন রতন স্যার। আবার নির্যাতনের পর মেয়ের হাতে পাঁচ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলেন। এমন নির্যাতন করলে শিশুরা স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান। 

রতন বলেন, ওই মেয়েটাকে আমি অনেক স্নেহ করি। মেয়েটাকে আদর করতে গিয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী রোববার আমি নিজে বিদ্যালয়টিতে যাব এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।