কাঁঠালের আচার তৈরির রেসিপি
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : টক জাতীয় বিভিন্ন ফল দিয়ে আচার তৈরির কথা আমরা সবাই জানি। কাঁচা আম এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। তাই বলে কাঁঠাল দিয়ে আচার? শুনে অবাক হওয়ারই কথা। তবে রেসিপি জানা থাকলে কাঁঠাল দিয়েও আচার তৈরি করা সম্ভব। সেজন্য খুব বেশি ঝামেলাও পোহাতে হবে না। বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণ আর কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু আচার। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের আচার তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
ADVERTISEMENT
এঁচোড়- ১ কেজি
সরিষা - ২ টেবিল চামচ
মেথি- ১ টেবিল চামচ
ADVERTISEMENT
জিরা- ১ টেবিল চামচ
ধনিয়া-১ টেবিল চামচ
গোল মরিচ- ১ চা চামচ
মৌরি- ১ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ- ৫-৭
কালো জিরা- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়া - ৩ চা চামচ
আমচুর পাউডার- ২ টেবিল চামচ
লেবু- ২টি
সরিষার তেল - ২-২.৫ কাপ
পানি- প্রয়োজনমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
এঁচোড়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোটো ছোটো টুকরা করে কাটুন। ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি গরম করতে দিন। পানি গরম হতে হতে এঁচোড়ে লবণ এবং হলুদ মাখিয়ে নিন। মসলা মাখা এঁচোড় পানিতে দিয়ে সাত থেকে দশ মিনিট সেদ্ধ করুন। এঁচোড় ভালোমতো সিদ্ধ করতে হবে কিন্তু গলে যেন না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সেদ্ধ এঁচোড় তুলে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বড় থালা বা প্লাস্টিকের শিটে সেদ্ধ এঁচোড় ছড়িয়ে দিয়ে রোদে শুকাতে দিন। অন্তত তিন ঘণ্টা শুকোতে দিতেই হবে। খেয়াল রাখবেন এঁচোড়ের মধ্যে পানি যেন না থেকে যায়। শুকানোর সময় এঁচোড়গুলো ছড়িয়ে দেবেন যাতে প্রত্যেকটা টুকরোয় রোদ লাগে।
এবার মসলা তৈরির পালা। সর্ষে, মেথি, জিরা, ধনিয়া, গোল মরিচ, মৌরি এবং শুকরা মরিচ খোলায় টেলে নিন। খেয়াল রাখবেন, মসলা যেন পুড়ে না যায়। ভাজা মশলা ঠান্ডা করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে এই মসলা, আমচুর পাউডার এবং মরিচের গুঁড়া একসঙ্গে দিয়ে গুঁড়া করে নিন। কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিয়ে গরম করুন। তেল ফোটাবেন না। ধোঁয়া বের হলেই চুলা বন্ধ করে দিন।
একটি বড় পাত্রে রোদে শুকানো এঁচোড়, মসলা, প্রয়োজন মতো লবণ, কালো জিরা দিয়ে ভালো করে মেশান। হাত দিয়ে মেশাবেন না। বড় চামচ ব্যবহার করুন। মিশ্রণে ঢেলে দিন গরম সরিষার তেল। এরপর আবার মেশান। শেষে পাতি লেবুর রস দিয়ে আবারও মেশান। সমস্ত মিশ্রণ ঢেকে ঘণ্টা দুয়েক দিয়ে রোদে রেখে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল কাঁঠালের আচার। এবার একটি কাঁচের বয়ামে আচার ঢেলে রেখে দিন। এই আচার এক বছরের মতো ভালো থাকবে থাকবে। তবে মাঝেমাঝে রোদে দিতে ভুলবেন না।