ওমিক্রন আতঙ্কের কথা লিখে স্ত্রী-সন্তানদের খুন চিকিৎসকের
করোনা সংক্রমণ থেকে স্ত্রী, সন্তানদের ‘বাঁচাতে’ তাই তাঁদের খুন করলেন ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত এক চিকিৎসক। খুন করার আগে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘লাশ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত।
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : লাশ গুনতে গুনতে চিকিৎসক ক্লান্ত। করোনা সংক্রমণ থেকে স্ত্রী, সন্তানদের ‘বাঁচাতে’ তাই তাঁদের খুন করলেন ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত এক চিকিৎসক। খুন করার আগে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘লাশ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত। ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমন পরিস্থিতির যাতে শিকার না হতে হয়, তাই ওদের মুক্তি দিচ্ছি।’ উত্তরপ্রদশের কানপুরের এই চিকিৎসকের এমন কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী, সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক। চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বৌদি। অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি। এর পরই তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক। পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওমিক্রন আতঙ্কেই কি খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক চিকিৎসক।
তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, ‘এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে।’
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: