ঈশ্বরদীতে জামায়াতের ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।

ঈশ্বরদীতে জামায়াতের ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রথম নিউজ, ঈশ্বরদী: নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ঈশ্বরদীতে জামায়াতে ইসলামীর ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে জামায়াতের নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পুলিশকে দিয়ে ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলা দিচ্ছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছলিমপুর ইউনিয়নের শেখেরদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তারা সরকার পতনের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, রেললাইন উৎপাটন, রেলস্টেশন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করছিলেন। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।

এ সময় সেখান থেকে মো. আব্দুল বাতেন (৪০), মো. আব্দুল মজিদ (৬৩), মো. আব্দুল আজিজ (৬০), মো. মামুন হোসেন (৩৫), মো. মজিবুর রহমান (৬২), মো. ফরিদ আহমেদ (৬০), মো. শাহান আলী (৩২), মো. ইয়াছির আরাফাত ওরফে সুজন মাস্টার (৩৬), হাফেজ মো. ইনতাজ উদ্দিন (৬২) মো. শামীম হোসেন (২৬) ও মো. মোস্তফা কামালকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।

এজাহারে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বস্তাবন্দি ২০টি ইটের টুকরা ও ১৫টি বাঁশের লাঠি জব্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।