ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন
এসব হামলায় সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ইরানের মদতপুষ্ট গ্রুপগুলোর হামলার জবাবে ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে তৃতীয় দফা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এসব হামলায় সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড। ইয়েমেনের ভিতরে ১৩টি স্থানে ৩৬টি টার্গেটে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়, টার্গেটেড এসব স্থানের মধ্যে আছে অনেক গভীরে মজুদ করে রাখা অস্ত্রের গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডার। এ ছাড়া আছে উপকূলে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এর আগে ইয়েমেনে ও ইরাকে ইরানের সমর্থন আছে হুতিদের এমন ৮৫টি টার্গেটে শুক্রবার হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহের রোববার জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তাতে মার্কিন তিন সেনা সদস্য নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার ওই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার জন্য ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের দায়ী করেছে হোয়াইট হাউস। এমন অবস্থায় সতর্কতা উচ্চারণ করেছে ইরাক। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিশোধমূলক হামলার একটি বিপর্যয়কর পরিণতি দেখা দেবে মধ্যপ্রাচ্যে।
ওদিকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তারা বলেছে এ ঘটনায় তাদেরকে দায়ী করা ভিত্তিহীন। ইরানের ভাষায়, ওইসব প্রতিরোধ বিষয়ক গ্রুপের সিদ্ধান্ত নেয়ার সঙ্গে জড়িত নয় ইরান।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের হামলার জবাবে বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শেপস বলেন, নতুন এই হামলা কোনো উত্তেজনা নয়। এটা হলো হুতিদের সক্ষমতাকে আরও কমিয়ে আনার একটি মিশন। তবে এসব হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত নীরব যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি শুধু রিপাবলিকান দল থেকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালিকে আক্রমণ করে কথা বলছেন। সেদিকেই তিনি দৃষ্টি আবদ্ধ রেখেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিলম্বিত প্রতিশোধের দিকে দৃষ্টি রেখেছেন রিপাবলিকান সমালোচকরা। ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির সময়ে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি কমানোর কোনো পরিকল্পনা সামনে আনেননি।