ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ৩১ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক
প্রথম নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি দিয়া আল-কাহলাইত নামের এক সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি এআই অ্যারাবি আল জাবেদ সংবাদমাধ্যমের গাজার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। খবর আল জাজিরার।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে মাত্র একজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন দিয়া আল-কাহলাইত।
বাকি ৩১ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এখনও বন্দি রয়েছেন। এদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। অথচ বিনা অভিযোগেই দিনের পর দিন তাদের আটকে রাখা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের অধিকার বিষয়ক সংস্থাটি জানিয়েছে, বন্দি সাংবাদিকদের সবাই ফিলিস্তিনি মিডিয়া আউটলেটের জন্য কাজ করেন বা ফ্রিল্যান্সার। এদের বেশিরভাগই অধিকৃত পশ্চিম তীরে গ্রেফতার হয়েছেন।
আরএসএফ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলাকালীন সাংবাদিকদের এভাবে গ্রেফতার ও আটকের এই নজিরবিহীন ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, ফিলিস্তিনি মিডিয়ার কণ্ঠ রোধ করতেই এমনটা করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গাজার মধ্যাঞ্চলে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে গাজার মধ্যাঞ্চলে সামরিক অভিযান সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সামরিক কার্যক্রম স্থানীয় ও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২৩ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ জনই শিশু। এছাড়া আরও প্রায় ৫৯ হাজার জন আহত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই জল, স্থল ও আকাশ পথে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি।