৮ দফা দাবিতে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি

এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দেন তিনি। ওই স্মারকলিপিতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

৮ দফা দাবিতে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি
ঢাবির ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক কাজের অব্যবস্থাপনার দ্রুত সমাধান ও সেবার আধুনিকায়নে ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।

এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দেন তিনি। ওই স্মারকলিপিতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ৮ দফা দাবি হলো-

১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে অভিযোগ সেল গঠন।

২. সব প্রশাসনিক কার্যক্রম অবিলম্বে ডিজিটালাইজড করা।

৩. নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিসগুলোর অভ্যন্তরে প্রতিটি কক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন, যেখানে অফিসগুলোর নাম, কক্ষ নম্বর ও সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে।

আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি বাতিল

৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ও প্রশাসনিক ভবনের ক্যানটিনের সংস্কার।

৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিকবিদ্যা, পেশাদারি, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক সেবাপ্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারগুলোর সহায়তা নেয়া।

৭. অফিস চলাকালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয় বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবগুলোতে স্থানান্তর নিশ্চিত করা।

৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যহানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা।

এ ছাড়া ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর গৌরবময় শতবর্ষ পূর্ণ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ১০১তম বছরে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতাজনিত হয়রানি কমেনি। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, হল ও বিভাগ কার্যালয়ের অফিসের মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতার প্রবল অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে এবং কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারানোর খবর মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, যা ডিজিটাল যুগে সনাতনী নির্যাতনের নামান্তর। রেজিস্ট্রার ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়মানুবর্তিতায় ঘাটতি রয়েছে, তাদের কাজে দীর্ঘসূত্রতাও আছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস চলাকালে নির্বাচনী প্রচারণাসহ ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। অনেকে অফিস চলাকালে নিজস্ব ব্যবসায়ও সময় দেন।

এ বিষয়ে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য বলেছেন আমার দাবিগুলো যৌক্তিক। দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি। উপাচার্য আশ্বস্ত করে বলেছেন, দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে, প্রশাসনিক ভবনের দাফতরিক কাজগুলো ক্রমান্বয়ে আধুনিকায়নের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দফতরের কাজ আধুনিকায়ন করা হয়েছে বলেও উপাচার্য জানিয়েছেন।’

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom