১৮ বছর পর ধরা খেলেন কিলার আজাদ!
রোববার বিকালে র্যাব-৪, সিপিসি ৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, মানিকগঞ্জ: ঢাকার কাফরুল এলাকার চাঞ্চল্যকর মাদক সম্রাজ্ঞী নাজমা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আজাদ কাজী ওরফে কিলার আজাদ। ১৮ বছর ধরে নিজের নাম ও পেশা পরিবর্তন করে পলাতক থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকায় র্যাবের অভিযানে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। রোববার বিকালে র্যাব-৪, সিপিসি ৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার আজাদ কাজী পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে মানিকগঞ্জের খাশিরচর এলাকায় এক বাসায় কেয়ারটেকার হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আটটি মাদক ও দুটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৪, সিপিসি ৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, গ্রেফতার আজাদ ও ভিকটিম নাজমা বেগম রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অনেক দিন ধরে একসঙ্গে মাদক কারবার করত। একপর্যায়ে মাদককারবারির টাকা নিয়ে নাজমার সঙ্গে আজাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ তার দলবল নিয়ে নাজমার বাসায় ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ১০ জুলাই নাজমার মা বাদী হয়ে আজাদ কাজী, মানিক, হীরা, সিটু, হৃদয় ও আমিরসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব আরও জানায়, মামলা হওয়ার পর হৃদয় ব্যতীত সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিরা ১৫ মাস কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে মানিক, হীরা, আজাদ কাজী, সেন্টু, হৃদয় ও আমিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে নাজমা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে গত ১৭ এপ্রিল ২০১৭ সালে আদালত আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় আজাদ পলাতক ছিলেন। জামিনে বের হওয়ার পর আজাদ নিজের নাম পরিবর্তন করে মো. আসিফ ব্যবহার করে কাফরুল এলাকা থেকে পালিয়ে গাজীপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পরে পরিবার নিয়ে ২০১৩ সালে পাবনার নিজ এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন।
হত্যার বিষয়ে জানাজানি হলে পাবনা থেকে যশোরে পালিয়ে ভেকুর হেলপার হিসাবে কাজ করেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে শুরুর দিকে যশোর থেকে পালিয়ে মানিকগঞ্জের খাশিরচর এলাকায় রুহুল আমিনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: