সিরাজগঞ্জ বিএনপির শক্ত ঘাঁটি: টুকু
প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে তাণ্ডব ঘটে গেলো।
প্রথম নিউজ,ঢাকা: সিরাজগঞ্জকে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করেছেন দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
টুকু বলেন, প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে তাণ্ডব ঘটে গেলো। সেখানে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিরোধ গড়ে আমাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করার সুযোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ বিএনপির একটি শক্ত ঘাঁটি। জেলাটির মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সজলের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী আক্রমণ করে। আমাদের ছেলেরা প্রতিহত করে তারপর সংঘর্ষ বাঁধে। তখন সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে আমাদের ৫০ জন ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। দুঃখজনক তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ ছিল বলে আমরা সেদিন মিটিং শেষ করতে পারছি।
টুকু বলেন, ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীরা এবং পুলিশের নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জ এখন ত্রাসের নগরী। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ ছয়টি মামলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুবলীগের অস্ত্রধারীদের আসামি করা হয়নি। আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি, উল্টো আমাদের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় গণমাধ্যমে যাদের ছবি এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সাহস অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ দেশকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে এক মুহূর্ত দেখতে চায় না। আর যদি দেখতে চাইতো তাহলে আমাদের মিটিংয়ে এত বাঁধা সত্ত্বেও মানুষের ঢল নামতো না।
টুকু বলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা ১৯৭১ থেকে ৭৫ ঘটনা বলতে চায় না। তখন ক্যাম্প করে বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা করেছে। এখন পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করছে।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা দক্ষিণের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: