সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ভাগ্নিকে জেরা

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তার বড় বোনের মেয়ে দিলরুবা নুসরাত জাহানকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ভাগ্নিকে জেরা
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ভাগ্নিকে জেরা

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তার বড় বোনের মেয়ে দিলরুবা নুসরাত জাহানকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ দিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তার জবানবন্দি শেষ হয়। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামসুদ্দিন জুম্মন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন— নিহতের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: