স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলায় আরও একজনের সাক্ষ্য
প্রধান আসামি মিজানুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পবিত্র মণ্ডল নামে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকার সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রী নীলা রায়কে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলার প্রধান আসামি মিজানুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পবিত্র মণ্ডল নামে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (২৮ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন নীলার মায়ের মামা পবিত্র মণ্ডল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আসামি পক্ষ তাকে জেরা করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন
এর আগে এ মামলার বাদী নীলার বাবা নারায়ণ রায় ও তার ভাই অলক রায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার আসামিরা হলেন— মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তার বন্ধু সাকিব হোসেন এবং সেলিম পাহলান।
২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় আসামি মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে আটটি আলামতের কথা উল্লেখ করাসহ ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করেন মিজানুর। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মিজানুর। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মিজান। পরে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর নীলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড শেষে ১ অক্টোবর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিজানুর। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। অন্য দুই আসামি সাকিব ও সেলিম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ রায়ের মেয়ে নীলা সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।