শিমু হত্যা মামলায় নোবেলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য

নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে বাসার দুই গৃহকর্মী শান্তা বেগম ও আমেনা বেগম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

শিমু হত্যা মামলায় নোবেলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য
শিমু হত্যা মামলায় নোবেলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য

প্রথম নিউজ, ঢাকা : শিমু হত্যা মামলায় নোবেলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে বাসার দুই গৃহকর্মী শান্তা বেগম ও আমেনা বেগম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এদিন তাদের জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডিশনাল, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনোয়ার সরদার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: