শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, কোটা-সংস্কারের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থী আন্দোলনের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রক্তাক্ত করা হলো বাংলাদেশকে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: কোটা সংস্কারের জন্য সারা দেশে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ আন্দোলনে হামলা করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ইতোমধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এসব ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, তা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, কোটা-সংস্কারের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থী আন্দোলনের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রক্তাক্ত করা হলো বাংলাদেশকে। মিডিয়ার বরাতে জানা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন পাঁচজন আন্দোলনকারী। দেশব্যাপী আহত হয়েছেন হাজারখানেক শিক্ষার্থী। গত ১৫ জুলাই দিনভর ও ১৬ জুলাই প্রথম প্রহরে ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডা ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নামিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নারকীয়, ভয়াবহ ও মর্মান্তিক হামলা চালানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে।
এরপর ১৬ জুলাই দিনভর পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা চলেছে দেশব্যাপী এবং সেই হামলা আগের দিনের তীব্রতাকে হার মানিয়ে হত্যাকাণ্ডের মতো ক্ষমার অযোগ্য পাশবিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। গত দুই দিনে ক্যাম্পাসগুলোয় যা ঘটেছে, নারী শিক্ষার্থীদের ওপর যে ভয়াবহ আক্রমণ হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে সরকার কতটা নারী-অবান্ধব। এসব ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, তা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। একইসঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসকরা নীরবে এসব ন্যক্কারজনক হামলা এবং নিজ শিক্ষার্থীদের রক্তপাতকে বৈধতা দিয়েছেন এবং এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রক্তপাতের অংশীদার হয়েছেন শুধুই পদপদবি আঁকড়ে রাখার জন্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব লজ্জাহীন প্রশাসকদের আমরা ধিক্কার জানাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের দাবি কোটা শতকরা ৫৬ ভাগ থেকে কমিয়ে আনার যৌক্তিকতা ছিল। এই ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন থেকে উত্থাপিত দাবি বিবেচনা না করে সরকার পরিকল্পিতভাবেই প্রথমত উপেক্ষা এবং দ্বিতীয়ত দমন ও নিপীড়নের নীতি গ্রহণ করেছিল। অবশেষে আন্দোলন তীব্র হলে প্রধানমন্ত্রী 'বিরক্ত হয়ে' কোটা প্রথা বাতিল করে দেন। আমরা মনে করি, সেটা একটা বিভ্রান্তিকর এবং চাতুর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় আনার জন্য কোটার প্রয়োজন রয়েছে; কিন্তু তা চলমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে যৌক্তিকভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন ছিল।
সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট 'সংবিধান পরিপন্থী' বিবেচনা করে ২০১৮ সালের পরিপত্রকে বাতিল করার রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ ৫৬ শতাংশ কোটার পরিস্থিতি আবার ফিরে আসে এবং চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেন। অর্থাৎ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজপথ না ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আগস্টে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারসহ যুক্তিযুক্ত সুরাহা হওয়ার পথ তৈরি হয়েছিল, যা পরিহার করে সরকার যথারীতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানিয়ে নির্যাতন আর নিপীড়নকেই বেছে নিল।
আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সংগ্রাম ছাড়া আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। তাদের ও তাদের পরের প্রজন্মের জন্য কোটাও সে সময়ের জন্য সঠিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় প্রজন্মের জন্যও ওই কোটা একইভাবে রাখার প্রয়োজন নেই বিধায় এটি কমিয়ে আনা দরকার। এই বিষয়টিকেই সরকার ২০১৮ সালে এবং এ বছরও রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতায় রূপ দিয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের 'রাজাকার-সংশ্লিষ্ট' বা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
২০১৮ সালেও তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের 'রাজাকারের বাচ্চা' বলে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এবারও প্রধানমন্ত্রী তার গত ১৪ জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম বা নাতিপুতির বিপরীতে পরোক্ষভাবে, আন্দোলনকারীদেরই ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারীরা 'তুমি কে আমি কে/ রাজাকার রাজাকার/ কে বলেছে কে বলেছে/ স্বৈরাচার স্বৈরাচার' স্লোগানসহ রাস্তায় নেমে আসে। দুর্ভাগ্যবশত এই স্লোগানকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে আন্দোলন দমনের জন্য সরকার উগ্র দলীয় কর্মীদের উসকে দেওয়ার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করল। আর সেই ভুল ব্যাখ্যার ফলাফল হলো—বাইনারিকরণের মাধ্যমে জাতিগত বিভেদ ও বিদ্বেষ এবং বিমানবিকীকরণ।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় বসে থাকা সরকার যেকোনো অধিকারসংক্রান্ত আন্দোলনকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং ব্যাপক নিপীড়নের মধ্য দিয়ে তা সরকারবিরোধী জনবিক্ষোভে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে নষ্ট করে দিতে চায়। দেশে ভয়াবহ লুণ্ঠন, সম্পদ পাচার, দুর্নীতি না থামিয়ে এদের বাড়তে দেওয়া হয়, কারণ এসব লুণ্ঠনজীবিরাই সরকারের একচ্ছত্র ক্ষমতার পাহারাদার।
অন্যদিকে দেশের রিজার্ভের ভয়াবহ অবনতি ও তা ঘোচাতে চীনের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়া এবং ভারতের রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করতে গিয়ে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া বা ভারত তিস্তার ব্যরাজ খুলে দিয়ে পুরো উত্তরবঙ্গ প্লাবিত করার এই দুঃসময়ে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে আন্দোলন এবং দমন-পীড়ন দিয়ে ব্যস্ত রাখাও তাদের কৌশলের অংশ। আমরা ইস্যু দিয়ে ইস্যু ঢাকার এরকম রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে চারটি দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সেগুলো হলো—
১। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যারা হামলা করেছে, গুলি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
২। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। সংবিধানের আলোকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে কোটা সংস্কারের রূপ নির্ধারণ করতে হবে।
৩। ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশ ও ত্রাস সৃষ্টির ঘটনার প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং আর কোনো বহিরাগত যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪। শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে ছাত্রাবাসে থাকতে পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিবৃতিতে অনলাইনে সই করা শিক্ষকরা হলেন—
১। লাবনী আশরাফি, প্রভাষক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
২। মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩। সুমন সাজ্জাদ, অধ্যাপক, বাংলা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪। সৌমিত জয়দ্বীপ, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
৫। কাব্য কৃত্তিকা, গবেষণা সহযোগী ও প্রভাষক, সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস
৬। সৈয়দ নিজার, সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭। কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮। স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৯। ইসমাইল সাদী, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
১০। ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
১১। আর এ এম হাসান তালুকদার, প্রভাষক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
১২। অলিউর সান, প্রভাষক, ইংরেজি ও মানবিক বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
১৩। সঞ্জয় কুমার সরকার, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
১৪। কাজী ফরিদ, অধ্যাপক, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৫। মাহমুদা আকন্দ, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬। শামসুল আরেফীন, সহকারী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৭। হাসান তৌফিক ইমাম, সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৮। ফাহমিদুল হক, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (সাবেক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯। আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক (অব), অর্থনীতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২০। ফাতেমা শুভ্রা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
২১। উন্মেষ রায়, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
২২। নাহিদা বেগম, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
২৩। খাদিজা মিতু, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৪। বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৫। দীপ্তি দত্ত, সহকারী অধ্যাপক, প্রাচ্যকলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৬। মো. মনিরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
২৭। মোহাম্মদ রায়হান শরীফ, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৮। সামজীর আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
২৯। তিথি দেবনাথ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩০। নির্ণয় ইসলাম, প্রভাষক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
৩১। মো. বশিরুজ্জামান খোকন, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩২। মৃধা মো. শিবলী নোমান, সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩৩। তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪। মোশাহিদা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক, অ্যাকাউন্টিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫। মিম আরাফাত মানব, প্রভাষক, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬। হাবিব জাকারিয়া, অধ্যাপক, নাট্যকলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৭। মার্জিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৮। মাখন চন্দ্র রায়, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৯। বেগম শারমিনুর নাহার, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটির অব লিবারেল আটর্স বাংলাদেশ
৪০। গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ, অধ্যাপক, বাংলা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
৪১। আ-আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৪২। মাসুদ পারভেজ, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
৪৩। সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪। তানভীর আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫। পারভীন জলী, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪৬। মো. সাইফুজ্ জামান, অধ্যাপক, বাংলা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
৪৭। আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
৪৮। সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৯। বুলবুল সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
৫০। মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
৫১। কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫২। সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৫৩। গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৪। আইনুন নাহার, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৫৫। আরিফুজ্জামান রাজীব, সহযোগী অধ্যাপক, ইইই, বশেমুরবিপ্রবি
৫৬। মো. নাজমুল ইসলাম রাফি, প্রভাষক, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৫৭। মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫৮। আরাফাত রহমান, সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৫৯। সায়েমা খাতুন, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬০। কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬১। তাসমিয়াহ তাবাসসুম সাদিয়া, সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
৬২। আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৩। সুকান্ত বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
৬৪। ইমরান কামাল, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৫। রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৬। শরমিন্দ নীলোর্মি, অধ্যাপক, অর্থনীতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬৭। যোবায়দা নাসরীন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৮। সৌম্য সরকার, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৬৯। রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৭০। রায়হান রাইন, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭১। মঈন জালাল চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
৭২। সেলিম রেজা নিউটন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৭৩। স্বাধীন সেন, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭৪। মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭৫। সুস্মিতা চক্রবর্তী, ফোকলোর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৭৬। শেখ নাহিদ নিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৭৭। অভী চৌধুরী, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৭৮। হাসিব চৌধুরী, অধ্যাপক, ইইই, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
৭৯। কাজী মামুন হায়দার, সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮০। অর্পিতা শামস মিজান, সহকারী অধ্যাপক, আইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮১। শামীমা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
৮২। মুসাররাত শামীম, অধ্যাপক, ইংরেজি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৮৩। মুশাররাত শর্মি হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, ইংরেজি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
৮৪। নোভা আহমেদ, অধ্যাপক, ইলেকট্রিকাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
৮৫। মনিরা শরমিন, সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ