যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা
বিগত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ ও ইউরোপের বাজারে কমেছে ১৪.৫০ শতাংশ।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিগত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ ও ইউরোপের বাজারে কমেছে ১৪.৫০ শতাংশ। মঙ্গলবার পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগের কথা জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তবে রপ্তানি ধরে রাখতে বিজিএমইএ নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও চাপে রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর ন্যূনতম নতুন মজুরি কার্যকর হলে পোশাক শিল্প আরও চাপের মুখে পড়বে। এছাড়া পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১০ কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা পাচার' বিষয়ে প্রচারিত সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অভিযোগ তদন্ত না করেই ঢালাওভাবে প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ। এই সংবাদে পোশাক শিল্পের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে আমেরিকার ভিসানীতিতে দেশের পোশাক রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। আকু পেমেন্টে কয়েকটি ব্যাংকে স্যাংশনস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো স্যাংশনস দিলেই তা শঙ্কিত হওয়ার। এরপরও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন, আকু পেমেন্ট অন্য কোনোভাবে পেমেন্ট করা যাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমেরিকার ভিসানীতিটা যে কারও ওপর হতে পারে। আবার আমি গত ৩০ বছর ধরে ৫ বছর করে আমেরিকার ভিসা পাই। এরপরও আমি আমেরিকা যাওয়ার পর আমাকে বলতে পারে তোমার ভিসা বাতিল করা হলো। এভাবে কারও ভিসা বাতিল করা হয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কারও ভিসা বাতিল হলেও তিনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা কোভিড সময়ে কোনো দেশে যেতে পারিনি। এরপরও আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। সেক্ষেত্রে বলা যায় ভিসা বাতিল হলেও বিকল্পভাবে তিনি তার ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।