যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজ (শনিবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শে‌ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি নিয়ে সরকার মোটেও বিব্রত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বড়লোকরা নেয়। তাদের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে।  

আজ (শনিবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শে‌ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মো‌মেন ব‌লেন, ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) বড়লোকরা নেয়, সরকারি কর্মচারী, কিছু বড় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ... তাদের ভিসার দরকার হয়, যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়ে, বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, যারা টাকা পাচার করেছেন। এতে (যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি) হয়তো আশা করি, টাকা পাচার কমবে।   

বক্তব্যের আরও ব্যাখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, কারণ উনারা নিয়ে গিয়ে তো স্থাপনা তৈরি করেন। আর যারা গরীব লোক নির্বাচ‌নে রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট হয়, তারাতো ভিসার জন্য আসেই না। 

যুক্তরা‌ষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে সরকার বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবা‌বে মন্ত্রী ব‌লেন, মোটেও না।  ভিসা দেওয়া-না দেওয়া ওদের (যুক্তরাষ্ট্র) বিষয়, এটা আমাদের বিষয় নয়। ভিসা আমেরিকা নিজের দায়িত্বে দেয়। তবে আমরা চাইব ভিসা নীতির জন্য জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনীতির মাঠে নানা আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। 

ঢাকায় নিযুক্ত ভারত ও সৌদি আরবের দূতদের বাড়তি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়‌টি স‌ঠিক কি না- জান‌তে চাইলে মো‌মেন ব‌লেন, এটা আমার জানা নেই। তবে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো পর্যন্ত আবেদন করেননি। এছাড়া বিদেশি কোনো দেশ এমন অন্যায় কাজ করে নাই যে,  তাদের ওপর হামলা হবে। আমাদের দেশে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। 

তি‌নি ব‌লেন, সাম্প্রতিক কালে রাষ্ট্রদূতদের ওপর কোনো  হামলা হয়নি।  তবে সাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার ঘটনা বদিউল আলম মজুমদারের পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়েছিল। সেটা শালা-দুলাভাইয়ের মধ্যে সমস্যা, যেটা পরে রাষ্ট্রীয় সমস্যা হয়ে গেছে।